বালুরঘাটে অর্পিতার প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বই
গত লোকসভা নির্বাচনে আরএসপি-র তেতাল্লিশ বছরের ঘাঁটি বালুরঘাটে তাদের চূর্ণ করে প্রথমবার ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস।
গত লোকসভা নির্বাচনে আরএসপি-র তেতাল্লিশ বছরের ঘাঁটি বালুরঘাটে তাদের চূর্ণ করে প্রথমবার ওই কেন্দ্রে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আবার, গতবছর বালুরঘাটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভালো ফল করে বিজেপি এবার পাখির চোখ করছে দক্ষিণ দিনাজপুরের ওই আসনটিকে। একদা কংগ্রেস এবং বামেদের লড়াইয়ের আখড়া বালুরঘাটে কি তবে এবার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হতে চলেছে নতুন দুই যুযুধান পক্ষের?
অর্পিতার প্রার্থীত্বে খুব খুশি হয়নি বালুরঘাটের স্থানীয় নেতৃত্ব
তবে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জও রয়েছে বালুরঘাট আসনে। গতবার নাট্যকর্মী অর্পিতা ঘোষ শাসকদলের হয়ে লড়ে এক লক্ষেরও বেশি ভোটে হারান আরএসপি-র বিমলেন্দু সরকারকে। এবারেও দল তাঁকেই প্রার্থী করেছে বালুরঘাট থেকে আর তাতে চটেছে স্থানীয় নেতৃত্ব। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্র এবং তাঁর অনুগামীরা মোটেই খুশি হননি অর্পিতার এবারের প্রার্থীত্বে। আর স্থানীয় পর্যায়ে সেভাবে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অর্পিতা রাজ্যের মন্ত্রীদের শরণাপন্ন হয়েছেন তাঁর নির্বাচনী প্রচারের জন্যে বলে খবর। শীর্ষ নেতৃত্বের বকুনিতে বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আড়াল করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তা দলকে জিততে সাহায্য করবে কী না, সেটাই এখন দেখার।
আগামী ২৩ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় বালুরঘাটে ভোটগ্রহণ আর এবারের লড়াই মোটামুটি অর্পিতা বনাম বাকিদের হিসেবেই দেখা হচ্ছে যদি না তৃণমূলের অন্তর্কলহ তাঁকে পথে বসায়। আরএসপি এবারে বালুরঘাট থেকে দাঁড় করিয়েছে রণেন বর্মনকে আর কংগ্রেসের তরফে লড়ছেন আব্দুস সাদেক সরকার। বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করছেন এবারে সুকান্ত মজুমদার, যিনি এসেছেন গতবার তৃতীয় স্থানাধিকারী বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরীর জায়গায় (পদ্মবাহিনী গতবার বালুরঘাটে প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পায়)।
অর্থাৎ অর্পিতার তিন প্রধান প্রতিপক্ষের মুখই এবার বদলে গিয়েছে।
মুখে তিনি বলছেন বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয় কিন্তু পারবেন অর্পিতা তৃণমূলকে দ্বিতীয়বার সরাসরি জয় এনে দিতে বালুরঘাট থেকে?