জাতীয় যোগ পুরস্কার জিতল বালুরঘাটের কৃতীরা
জাতীয় যোগ পুরস্কার জিতল বালুরঘাটের কৃতীরা
বাংলার গৌরব বৃদ্ধি করল রায়গঞ্জ শহরের প্রণবানন্দ যোগাশ্রম কেন্দ্র। ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় তিনজন কৃতী ছাত্রছাত্রী তারা ১৫ টি পুরষ্কার জিতে উত্তর দিনাজপুরের নাম উজ্জ্বল করল।
মঙ্গলবার সকালেই রাধিকাপুর এক্সপ্রেস থেকে রায়গঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছায় যোগাচার্য সঞ্জিত সেবকের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা। সাতটি রাজ্যের সাড়ে পাঁচশো প্রতিযোগীর মধ্যে রায়গঞ্জের বিজয়ীদের মধ্যে আট বছরের শিশু থেকে ৭২ বছরের বৃদ্ধ এই প্রতিযোগীতা করেছেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ প্রনবানন্দ যোগাশ্রম কেন্দ্র থেকে মোট ২৩ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়ে ১৫ জনই পুরষ্কার ছিনিয়ে এনেছেন। যারমধ্যে একজন ছাত্র, অন্য একজন গৃহবধূ এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী চ্যাম্পিয়নের শিরোপা অর্জন করে জেলার রায়গঞ্জ বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন তারা। তাদের শিক্ষাগুরু থেকে প্রনবানন্দ যোগাশ্রম কেন্দ্রের সকল ছাত্রছাত্রীরা।
গত ১৯ জানুয়ারি হাওড়ার বালিতে রিম্পা যোগ মন্দিরে বেঙ্গল যোগা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ষষ্ঠ ওপেন ন্যাশনাল যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯-২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ওড়িষা সহ মোট সাতটি রাজ্যের ৫৫০ জন প্রতিযোগী ন্যাশনাল যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত প্রনবানন্দ যোগাশ্রম কেন্দ্রের ২৩ জন প্রতিযোগীও অংশগ্রহণ করে।১৫ থেকে ২০ এবং ৩০ বছর বয়সের উর্দ্ধ বিভাগে রায়গঞ্জের তিনজন প্রতিযোগী ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এরা হলেন ১৫-২০ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন স্কুল ছাত্র সৌমাল্য সাহা, ৩০ বছরের উর্দ্ধ মহিলা বিভাগে গৃহবধূ শান্তা দাস, এবং ৩০ বছরের উর্দ্ধ পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ৭২ বছর বয়সী গিরিজা মোহন রায়।
এছাড়াও দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান লাভ করে আরও ১২ জন প্রতিযোগী। যাদের মধ্যে যেমন রয়েছে ৮ বছরের ব্যাপ্তি রায় তেমনি রয়েছে অনিরুদ্ধ, অনিন্দিতা, সুমি, ঐশিকা, অর্জিতার মতো রায়গঞ্জ প্রনবানন্দ যোগাশ্রম কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা। আগামীতে এই ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক স্তরে যোগাসন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেওয়া। তাদের কোচ তথা যোগ শিক্ষা গুরু সঞ্জিত সেবক জানালেন, ছাত্রছাত্রীদের এই সাফল্যে খুবই খুশী আশ্রমের সকলেই। তবে আগামীতে আন্তর্জাতিক যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের লক্ষ্য। কিন্তু আর্থিক বাধা সমস্যা হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের।