ধর্ষণকাণ্ডে আগাম জামিন মঞ্জুর, শর্ত আরোপে নতুন করে সংকটে ঋতব্রত
ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংসদ ঋতব্রতর আগাম জামিন মঞ্জুর হয়ে গেল। তবে তিনদিনের মধ্যে তাঁকে আদালেত হাজিরা দিতে হবে।
ঋতব্রতর আগাম জামিন মঞ্জুর করল বালুরঘাট আদালত। তবে শর্তসাপেক্ষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হল। তাঁকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার বালুরঘাটে সিপিএমের বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের মামলার শুনানি হয়। সেই শুনানি শেষে আপাতত স্বস্তি পেলেন ঋতব্রত।
সিআইডি তাঁর খোঁজে দিল্লিতে গিয়েছেন। এদিকে তাঁর বান্ধবী দুর্বা সেনকে জেরা করছে সিআইডি। সিআইডি জেরা করেছে ঋতব্রত কাণ্ডে মধ্যস্থতার চেষ্টা করা মুকুল ঘনিষ্ঠ অর্চনা মজুমদারকে। তখনই ধর্ষণে অভিযুক্ত সাংসদ ঋতব্রতর আগাম জামিন মঞ্জুর হয়ে গেল। তবে তিনদিনের মধ্যে তাঁকে আদালেত হাজিরা দিতে হবে।
এই অবস্থায় ঋতব্রতর প্রকাশ্যে আসেন কি না, সেটাই দেখার। তিনি এই মুহূর্তে কোথায় রয়েছেন, তাও স্পষ্ট নয়। সিআইডি দিল্লিতে হানা দেওয়ার পর তিনি রাজস্থানে চলে গিয়েছেন বলেও খবর রটেছিল। এখন তাঁর আগাম জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর বাংলায় ফিরে আদালেত হাজিরা দিতে পারেন।
তিনদিন আগে তাঁর আগাম জামিনের মামলার শুনানি রদ হয়ে যায়। তদন্তকারী অফিসার উপস্থিত না থাকায় সেদিন কেস ডায়েরি জমা দেওয়া যায়নি। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই শুনানির কাজ এগোয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল ৩ নভেম্বর। সেইমতোই এদিন জামিনের শুনানি হয়।
উল্লেখ্য, সিপিএমের ওই বহিষ্কৃত সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নম্রতা দত্তকে দিল্লির ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন। কিন্তু পরে প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করে টাকার বিনিময়ে সবকিছু মিটামাট করে নেওয়ার কথা বলেন। তারপরই নম্রতা স্বীকৃতির দাবিতে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে সরব হন। বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিআইডিও তদন্ত শুরু করে এই মামলায়।