শোভন 'অজ্ঞাতবাসে' থেকেও আছেন রাজনীতির অলিন্দে, কৃতিত্ব ‘একা’ বৈশাখীর
শোভন অজ্ঞাতবাসে থেকেও আছেন রাজনীতির অলিন্দে, কৃতিত্ব ‘একা’ বান্ধবী বৈশাখীর
তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতা, একাধারে মেয়র, অন্যধারে মন্ত্রী আবার দলের জেলা সভাপতিও তিনি। এহেন শোভন চট্টোপাধ্যায় কেমন হারিয়ে গেলেন রাজনীতির অলিন্দ থেকে। ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েনে তিনি এখন 'না ঘরকা না ঘাটকা'। বলা ভালো তিনি না বিজেপির, না তৃণমূলের! রাজনৈতিক ভবিষ্যৎটাই তাঁর কাছে অন্ধকার।
১৭ মাস হয়ে গেল অজ্ঞাতবাসে!
নয় নয় করে ১৭ মাস হয়ে গেল, অজ্ঞাতবাস থেকে বের হলেন না শোভন। দু-একবার যদিও বা তাঁকে দেখা গেল, আবার তিনি নিজেকে অন্তরালে নিয়ে চলে গেলেন। কিন্তু 'একা' বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রাজ্য রাজনীতিতে জাগিয়ে রাখলেন। তিনি কোনও দলে সক্রিয় না হলেও রাজ্য রাজনীতিতে তিনি প্রচারের আলোয় আছেন।
বৈশাখীকে আবর্ত করেই ঘুরেছে শোভনের ভবিষ্যৎ
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি প্রচারের আলোয় শীর্ষসারিতে রয়ে গিয়েছেন। যোগদান পর্বের প্রায় পর থেকেই তাঁর বিজেপির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যাওয়া। বৈশাখীকে আবর্ত করেই ঘুরেছে তাঁর বিজেপিতে ভবিষ্যৎ। বৈশাখীর অপমানে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তারপর কালীঘাটে তাঁর হঠাৎ আবির্ভাবে তাঁর অভিমুখ ফের বদল হয়েছে।
শোভনকে সবসময় প্রচারের আলোয় রেখেছেন বৈশাখী
কালীঘাটে গিয়ে দিদির হাতে ভাইফোঁটা নেওয়ার পর তাঁকে আর সেভাবে দেখা যায়নি রাজনীতির অলিন্দে। কিন্ত তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে, আবার কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ শোভনকে সবসময় প্রচারের আলোয় রেখে দিয়েছে।
শোভনকে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে দেওয়া চেষ্টা!
সম্প্রতি মিল্লি আল আমিন কলেজে নিয়োগ নিয়ে মন্তব্য করেও শোভনের প্রসঙ্গ টেনেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মন্তব্য করেছেন, তাঁকে শুধু অপমান করা হচ্ছে তা নয়, শোভনকে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করে দেওয়া চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এভাবে শেষ করা যাবে না, ফুঁসে ওঠেন বৈশাখী।
'জরুরি অবস্থা' ঘোষিত হয়ে গেল চিনের প্রতিবেশী দেশে! করোনায় নাজেহাল শিনজো সরকার