বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চান শোভনও! বৈশাখীর কথায় প্রশ্নে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ
আটমাস তৃণমূলে একঘরে হয়েছিলেন শোভন। দলে অপাংক্তেয় হয়ে থাকতে চাননি, তাই দল ডাকলেও তিনি যাননি কোনও কর্মসূচিতে। আটমাস পর বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেছিলেন মুক্তির সাধ পেলেন।
আটমাস তৃণমূলে একঘরে হয়েছিলেন শোভন। দলে অপাংক্তেয় হয়ে থাকতে চাননি, তাই দল ডাকলেও তিনি যাননি কোনও কর্মসূচিতে। আটমাস পর বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেছিলেন মুক্তির সাধ পেলেন। কিন্তু ১৫ দিনেই যে তাঁদের নতুন 'ঘর' ছন্নছাড়া হয়ে যাবে ভাবেননি। বৈশাখীই স্পষ্ট করলেন, শোভনদা এখন বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইছেন।
কাঁটার মতো বিঁধছে শোভন বৈশাখীর
শোভন বৈশাখী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কম নাটক হয়নি। তৃণমূল তাঁদের দলে সক্রিয় করতে কম চেষ্টা করেনি। তবু তৃণমূলকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। ঘটা করে দিল্লির অফিসে তাঁদের যোগদান হয়েছিল। তারপর বাংলায় এসে সংবর্ধনা। এখন সে সবই কাঁটার মতো বিঁধছে শোভন বৈশাখীর গলায়।
১৫ দিনেই মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির প্রতি
এই ১৫ দিনেই তাঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে বিজেপির প্রতি। শোভন-বৈশাখী যে এভাবে বিজেপিতে থাকতে চান না,তা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বাড়িতে গিয়ে সাফ জানিয়ে এসেছেন দুজনে। তারপর তাঁদের দিল্লি যাত্রাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বৈশাখীর সঙ্গে ঝামেলার শুরু রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইছেন শোভন-বৈশাখী
বৈশাখীর অভিযোগ, তাঁদের বৈঠকে না ডেকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। যোগদান মঞ্চ থেকে যা ঘটছে, তার পর বিজেপিতে তিতিবিরক্ত তিনি। শোভনও বিজেপি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইছেন বলে বৈশাখীর দাবি। বৈশাখীর এই দাবিতে বিজেপিতে যে তাঁরা আর থাকছেন না, তারই আভাস রয়েছে।
বিজেপিও বুঝতে পেরেছে বৈশাখীর পথেই শোভন
বৈশাখীর কথায় এটা অন্তত পরিষ্কার, শোভনকে বিজেপিতে রাখতে গেলে বৈশাখীর মনই আগে গলাতে হবে। বৈশাখীর মন না গললে শোভন একা বিজেপিতে খাকবেন না। রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে এনই সাংঘাতিক সব অভিযোগ নিয়ে তাই তাঁরা দিল্লির দরবারে হাজির হয়ে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির থেকে পুরনো দল অনেক ভালো! শোভনের কথা তুলে প্রশস্তির বন্যা বৈশাখীর গলায়]
[আরও পড়ুন: 'দেশে গাভী তৈরির ফ্যাক্টরি লাগিয়ে দেব'! দুগ্ধ উৎপাদনে জোয়ার আনতে আর কী জানালেন গিরিরাজ ]