শোভন কি দলহীন থাকবেন একুশের নির্বাচনে! বান্ধবী বৈশাখীর জবাবে বাড়ল জল্পনা
শোভন কি দলহীন থাকবেন একুশের নির্বাচনে! বান্ধবী বৈশাখীর জবাবে বাড়ল জল্পনা
দুঁদে রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্যায় কি দলহীন থাকবেন একুশের নির্বাচনের আগে? প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ফলাও করে জানিয়ে দিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। তারপর তাঁদের মানভঞ্জনের কোনও চেষ্টাই সে অর্থ হয়নি। আর তৃণমূল কংগ্রেস বা অন্য কোনও দল থেকে ডাকও আসেনি!
বিজেপি ব্যাকফুটে, আড়ালে শোভন
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ১৭ মাস পর শোভন ও বৈশাখী সক্রিয় হয়েছিলেন। প্রচার শুরু করেছিলেন বিজেপির হয়ে। কিন্তু বেহালা পূর্বে তাঁর প্রচারের পর থেকেই তাল কেটে যায়। শোভনের প্রচারে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতায় বিজেপি ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছিল বলে তাঁরা আড়ালে চলে যান। সবশেষে বেহালার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম না থাকাতেই গর্জে ওঠেন তাঁরা।
দলহীনই থাকবেন? তাৎপর্যপূ্র্ণ বার্তা বৈশাখীর
শোভনকে প্রার্থী না করায় বৈশাখী গর্জে উঠেছিলেন। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণাও করেন তিনি। কিন্তু বিজেপির তরফে মানভঞ্জনের কোনও চেষ্টা করা হয়নি। কেউ যোগাযোগও করেননি বলে জানান বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি আপনারা এবার দলহীনই থাকবেন, তাৎপর্যপূ্র্ণ উত্তর দেন বৈশাখী।
রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত এক দিনে হয় না
বৈশাখী বলেন, আমরা যে এই মুহূর্তে দলহীন তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগামী দিনের ভূমিকা সময়ই বলে দেবে। সময়ই বলে দেবে আমরা কী করব। আগামী দিনই বলে দেবে কী হতে চলেছে। রাজনীতিতে তো সিদ্ধান্ত এক দিনে হয় না। তাঁদের সিদ্ধান্তও এক দিনে হবে না।
সক্রিয় রাজনীতি থেকে ফের দূরে শোভন-বৈশাখী
বৈশাখী যেমন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, তেমনই শোভনও ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈশাখীকে প্রার্থী না করায়। এই মুহূর্তে উভয়েই সক্রিয় রাজনীতি থেকে ফের দূরে সরে গিয়েছেন। বৈশাখী জানিয়েছেন, এই অপমান আমাদের উদ্যমকে থামাতে পারবেন না।
বিজেপিতে এসেও তো কমবার অপমানিত হলেন না!
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এভাবে নিস্ক্রিয় থেকে যাওয়ার পর তাঁদের সক্রিয় রাজনীতিতে গুরুত্বের আসন ফিরে পাওয়া খুব কঠিন। তৃণমূলে অপমানিত হয়ে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন বলে নিজেরাই জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে এসেও তো কমবার অপমানিত হলেন না। বিতর্ক তাই রয়েই গেল।
মমতাকে হারাতে বাংলার মেয়েরাই হাতিয়ার, বিজেপির সংকল্প পত্রে উঁকি দিচ্ছে চাণক্য অমিতের কৌশল