ঘাসফুল মাড়িয়ে কাননে মেনন! এবার তাহলে কোনপথে শোভন, ইঙ্গিত দিলেন বৈশাখী
ঘাসফুল মাড়িয়ে কানন সকাশে-মেনন, এবার তাহলে কোনপথে শোভন, আভাস বৈশাখীর
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল বদলে গেল। যখন ফের শোভনের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা চলছে, তখনই বিজেপির অন্যতম পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন পৌঁছে গেলেন শোভনের বাড়িতে। তারপরই শোভন পড়ে গেলেন দোলাচলে। এখন কী করবেন শোভন চট্টোপাধ্যায়? বান্ধবী বৈশাখী জানালেন যে দলে সম্মান ও সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন, সেখানেই যাবেন তিনি।
শোভন প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বৈশাখীর
বৈশাখী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে দুটি দলেই যাওয়ার পথ খোলা রাখলেন শোভনের জন্য। মেননের সঙ্গে বৈঠকের পরও শোভন বলতে পারলেন না তিনি বিজেপিতে সক্রিয় হচ্ছেন। কিংবা স্পষ্ট করে দিতে পারলেন না তিনি ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলেই। শোভনের মুখপাত্র হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ফের জানালেন ভবিষ্যৎ বার্তা।
কোন ফুলকে বেছে নেবেন শোভন, ধন্দ
বৈশাখী বলেন, আমি চাই শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরুন। তাই যেখানে তিনি সম্মান পাবেন, যেখানে তিনি সততার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। এখনও ভাবছেন শোভন। তিনি কোন ফুলকে বেছে নেবেন তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক জীবনের জন্য। মোট কথা শোভন এখনও দর বাড়িয়ে চলেছেন।
বিজেপিতে উপযুক্ত পরিবেশ পাননি শোভন!
সূত্রের খবর, শোভন-বৈশাখী উভয়েই বিজেপির পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে জানিয়েছেন, যে লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা বিজেপিতে এসেছিলেন, তারা রাজনীতি করার সেই পরিবেশ এখানে পাননি। উপযুক্ত পরিবেশ পাননি বলেই শোভনবাবু নিষ্ক্রিয় থেকেছেন। এখনও তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। এরপর কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গেও তাঁর কথা বলানো হয়। কী হলে শোভন ফিরতে পারবেন সক্রিয় রাজনীতিতে, তা নিয়ে কথাও হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই জানিয়েছেন বৈশাখী
যদিও মেননের সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলেই জানিয়েছেন বৈশাখী। তিনি বলেন, অরবিন্দ মেনন বৃহত্তর পরিবারের মতো মাঝেমধ্যেই তাঁদের খোঁজখবর নেন। দেখা করতে আসেন। এই করোনা পরিস্থিতিতে কেমন আছি তা জানতেই এসেছিলেন। সৌজন্য সাক্ষাতে সৌজন্যমূলক কথাবার্তাই হয়েছে।
মেনন-সাক্ষাতের পর হোঁচট তৃণমূলে
এদিকে মেনন-সাক্ষাতের পর ফের একবার তৃণমূলের দোরগোড়ায় এসে হোঁচট খেতে হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তৃণমূলে ফেরা আবার থমকে গিয়েছে। এ জন্য শোভনের সিদ্ধান্তহীনতাকেই দায়ী করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাশা উল্টে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সক্রিয় হয়েই শোভনকে নিশানা করেছেন স্ত্রী রত্না। একইসঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতে প্রশ্নচিহ্ন লাগিয়ে দিয়েছেন।
পথ খুঁজে পাচ্ছেন না শোভন!
রত্না মনে করেন, শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে ঘর ছেড়ে। এই ঘর তাঁর জন্য যে স্বার্থত্যাগ করেছে, তা আর কেউ করবে না। তিনি এখন এত কনফিউজড যে, কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছেন না। কোন ফুলকে বেছে নেবেন রাজনীতিতে গুরুত্ব ফিরে পেতে, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না শোভন!
আম্ফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময়সীমা বাঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা