বৈশাখীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক শোভনের! জানিয়েছিলেন রত্নাকে, সেই চিঠি প্রকাশের দাবি
বৈশাখীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক শোভনের! এক চিঠিতে জানিয়েছিলেন রত্নাকে, প্রকাশের দাবি
শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি একটি চিঠি লিখেছিলেন স্ত্রী রত্না ও তাঁর শ্বশুর দুলাল দাসকে উদ্ধৃত করে। এবার সেই চিঠি সামনে আনার দাবি তুললেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শোভনকে বিয়ে নিয়ে বৈশাখীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের পর যখন রত্না পাল্টা দিয়েছেন, তখনই ওই চিঠি প্রকাশের দাবি তুলে তরজা জমিয়ে দিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
রত্নাকে লেখা শোভনের চিঠি প্রকাশের দাবি বৈশাখীর
কিন্তু কী আছে সেই চিঠিতে? বৈশাখীর দাবি, চিঠিতে শোভন জানিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে বৈশাখীর সম্পর্ক কী এবং কেমন সেই সম্পর্ক! বৈশাখী এবার সেই চিঠি সামনে আনার দাবি তুললেন। তাঁর দাবি, শোভন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শ্বশুর দুলাল দাসকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন। তা প্রকাশ্যে আনলেই সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।
শোভনের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে রত্না-বৈশাখীর তরজা
মঙ্গলবার রাতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের কাছে বিবাহ-বিচ্ছেদ চান। তারপরেই শোভনের সঙ্গে তাঁর বিয়ের প্রসঙ্গ ওঠে। তখন বৈশাখী সাফ জানিয়ে দেন, শোভনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হবে কি না তা সময় বলবে। আর রত্না তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দেন, কোনওদিন তা সম্ভব নয়। আমি শোভনকে ডিভোর্স দেব না। ওঁদের বিয়ে আমার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।
কোনওকালেই তিনি ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হবেনও না রত্না
রত্নার প্রতিক্রিয়ার পাল্টা বৈশাখী জানিয়েছেন, আমার এবং শোভনের সম্পর্কে রত্না কোনওকালেই ডিসাইডিং ফ্যাক্টর ছিলেন না, আর কোনওকালেই তিনি ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হবেনও না। যখন শোভন আমার নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্স্ত সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলেন তখন রত্না অভিযোগ তুলেছিলেন আমি নাকি শোভনকে খুন করতে চাই। সেই সময়ই আমাদের সম্পর্ক বর্ণনা করে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বাবা দুলাল দাসকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন শোভন।
রত্নাদেবীর সাহস থাকে, চিঠি প্রকাশ্যে এনে দেখান
বৈশাখী হুঙ্কার ছাড়েন, যদি রত্নাদেবীর সাহস থাকে, তবে সেই চিঠি প্রকাশ্যে এনে দেখান। ওনার কাছে এই চিঠির বিষয়ে কোনও উত্তর নেই। বৈশাখী জানান একজন ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে কী লিখবে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আসলে রত্না চট্টোপাধ্যায় নিজেকে খুব ভালোবাসেন। তাই আমার এবং মনোজিতের ডিভোর্সের খবর সামনে আসার পরই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন।
শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তরজা বৈশাখী ও রত্নার
শোভন-রত্নার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মামলা চলছে এখনও। বৈশাখী আবার তাঁর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন। স্বভাবতই বৈশাখী-শোভনের বিয়ে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে নতুন করে আরও একটি ডিভোর্সের প্রসঙ্গ ওঠায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনের সঙ্গে বিয়ে নিয়েও কথা ওঠে। তার পরিপ্রেক্ষিতে শোভন-জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে তরজা শুরু হয়ে যায়।
রত্নার দাবি, শোভন-বৈশাখীর বিয়ে তাঁর উপর নির্ভর
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ডিভোর্স প্রসঙ্গে রত্না সাফ জানিয়ে দেন, তিনি কোনওদিন ডিভোর্স দেবেন না। ডিভোর্স দিলেই তো ওঁরা বিয়ে করবে। শোভন-বৈশাখীর বিয়ে কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। বৈশাখীর কথার প্রত্যুত্তরে রত্না সাফ জানিয়ে দিলেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তিনি ডিভোর্স দেবেন না। আমি ডিভোর্স দিলে তো শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাঘ্যায় বিয়ে করবেন। ওঁদের বিয়ে হবে কি না আমার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
কেন বৈশাখী-শোভনের বিয়ের প্রশ্নই নেই, জানান রত্না
আর বৈশাখী ও মনোজিতের বিবাহ-বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যক্তিগত। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। ৩ বছর আগে একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়েছিলেন, এবার সেটা নিজে মুখেই স্বীকার করলেন। বৈশাখী যেমন ডিভোর্সের ব্যাপারে নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তেমনই আমি বিবাহ বিচ্ছেদ চাই কি না, সেটা আমরা ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই জীবনে আর শোভন চট্টোপাধ্যায় ডিভোর্স পাবেন না। তাই বৈশাখী-শোভনের বিয়ের প্রশ্নই নেই।
শোভনের সঙ্গে সম্পর্ক একটা স্বপ্নের মতো, বললেন বৈশাখী
বৈশাখী সম্প্রতি স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়েছেন। তারপরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। বৈশাখী বলেন, শোভনের সঙ্গে আমার বিয়ে হবে কি না তা সময়ই বলবে। শোভন আর আমার সম্পর্ক একটা স্বপ্নের মতো। একটা সুন্দর স্বপ্নের মতো আমাদের প্রতিটা দিন কাটে। আমাদের দীবন তেমনই কাটবে। কারণ আমাদের সম্পর্কে রত্নাদেবী কোনও ডিসাইডিং ফ্যাক্টর ছিলেন না, হবেনও না।