রক্ষিতার পাল্টা আশ্রিতা, শোভনের সিঁদুর দান নিয়ে বৈশাখী-রত্নার তরজা জমজমাট
বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় সিঁদুর নিয়ে অন্য খেলায় মেতেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দেবী দুর্গার সামনে তিনি বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন সিঁদুর দিয়ে। তাঁর সেই সিঁদুর দান নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই।
বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় সিঁদুর নিয়ে অন্য খেলায় মেতেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দেবী দুর্গার সামনে তিনি বান্ধবী বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দিয়েছিলেন সিঁদুর দিয়ে। তাঁর সেই সিঁদুর দান নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। আর তা শুনে শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
শোভনের সিঁদুর-কাণ্ডের পর বৈশাখী বনাম রত্না তরজা জমে উঠেছে। রত্নার কটাক্ষের জবাবে বৈশাখী বলেন, ওঁর বাণীগুলো শুনলাম। আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নই। কারণ আমার জীবনে ওঁর কোনও অস্তিত্ব নেই। শোভন চাইলে প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন। শোভন আমার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছে ওটা আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।
শোভনের সিঁদুর দান প্রসঙ্গে বৈশাখীকে রক্ষিতা বলে কটাক্ষ করেছিলেন রত্না। বলেছিলেন, হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী আমি এখনও শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও যদি কেউ অন্য কোনও স্ত্রীলোকের সঙ্গে থাকে, তাহলে ওই স্ত্রীলোককে সমাজ রক্ষিতা বলে। রক্ষিতাকে সিঁদুর পরাতেই সে স্ত্রী হয়ে যায় না। সে রক্ষিতাই থাকে।
বৈশাখী কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না দেব না করেও জানিয়েছে, শোভন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা শোভনের ব্যাপার। আর আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তা আমার ব্যাপার। আমার এই সম্পর্কটা গুরুত্বপূর্ণ না হলে শোভন এটাকে স্বীকৃতি দিত না। আর কোনটা গুরুত্বপূর্ণ কোনটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা ঠিক করে দেবে সমাজ। অনেক রাজনীতিকেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, তাহলে শোভনের বেলায় কেন এক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
বৈশাখী আরও বলেন, মনোজিৎকে যে দিন আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি, সেদিনই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। খাতায়-কলমে কী রউল, তা নিয়ে আমি বিশেষ ভাবিত নই, ভাবছিও না। আর তিনি রক্ষিতার পাল্টা আশ্রিতা কটাক্ষে বিদ্ধ করেছেন রত্নাকে। বৈশাখী বলেন, ওঁ এখন যে বাড়িতে থাকেন, সেটা তো এখন আমি কিনে নিয়েছি। রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে আছেন কেন? এখন ছুটি চলছে, ছুটির পরই বাড়ি ছাড়ার নোটিশ পাঠাব।
শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন সিঁদুর খেলার ফাঁকে বৈশাখীর সিঁথি রাঙিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৈশাখীই প্রথম সিঁদুর দানের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, বৈশাখী বলেন, আমাদের সম্পর্কে কোনওদিনই কোনও স্বীকৃতির অভাব ছিল না। সততার অভাব ছিল না। আমরা দু-জনে দুটি প্রাণহীন সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যেখানে আনন্দ ও শান্তি রয়েছে, সেই আশ্রয় খুঁজে নিয়েছি। সিঁদুর খেলার ওই ছবি প্রকাশের পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেকে অনেক কথাই বলেছেন। অনেকে ভেবেছেন শোভন আমাকে স্বীকৃতি দেবে না। কিন্তু আজ সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে স্বীকৃতি দিল শোভন।