উচ্চশিক্ষা দফতরে নিয়োগ লকডাউনের মধ্যেই! দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বৈশাখীর কড়া বার্তা
করোনার জেরে লকডাউনের মধ্যেই বিতর্ক চরমে উঠেছে এক শিক্ষিকাকে উচ্চশিক্ষা দফতরে ওএসডি পদে বসানো নিয়ে। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা দফতর এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরই গর্জে উঠেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনার জেরে লকডাউনের মধ্যেই বিতর্ক চরমে উঠেছে এক শিক্ষিকাকে উচ্চশিক্ষা দফতরে ওএসডি পদে বসানো নিয়ে। সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা দফতর এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরই গর্জে উঠেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, একজন দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষিকাকে বসানো হয়েছে উচ্চপদে। তিনি এই ঘটনার কড়া প্রতিবাদ করেন।
বৈশাখীর অভিযোগ
বৈশাখী জানান, শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্তে বিস্মিত শিক্ষামহল। মিল্লি আল আমিন কলেজের একজন দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষিকাকে উচ্চশিক্ষা দফতরের উচ্চপদে বসানো হল। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকেই যদি মাথায় বসানো হয়, তাহলে বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতেই কাঁদবে। কোনও সুবিচার মিলবে না।
বিচার পাওয়ার শেষ আশাটুকুও নিভে গেল
বৈশাখী বলেন, বিচার পাওয়ার শেষ আশাটুকুও নিভে গেল। মিল্লি আল আমিন কলেজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দীর্ঘদিনের। তারই জেরে বৈশাখী কলেজের অধ্যক্ষা পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়ে ইস্তফাপত্র পাঠান। কিন্তু এখনও তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি উচ্চশিক্ষা দফতর। এরই মধ্যে এক বৈঠক থেকে বৈশাখী কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান।
সমাধান হয়নি সমস্যার
২০১৩ সালে থেকে এই কলেজে নিয়োগ নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। তা ক্রমশই ঘণীভূত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ার পর্যন্ত ছুটেও সমাধান হয়নি সমস্যার। এরই মধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে বেশ কিছু বদল ঘটেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেন। তবে বিজেপিতে তাঁরা কেউই সক্রিয় হননি।
মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরও সমস্যা
সম্প্রতি বৈশাখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা ক্ষেত্রের দায়িত্ব রত্নার হাত থেকে নিয়ে শোভন ঘনিষ্ঠ এক কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়। ফের শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরার রাস্তা করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তারপরও সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে।
শোভনকে একঘরে করতেই সিদ্ধান্ত?
বৈশাখী জানিয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাজনৈতিকভাবে একঘরে করতেই তুঘলকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উচ্চশিক্ষা দফতরে কেন তড়িঘড়ি এমন নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি নেওয়া হল, প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। আমাকে একের পর একটা অপমান করা হচ্ছে। আমি সবই মাথা পেতে নিচ্ছি।