জমকালো থিম নয়, সাবেকিয়ানায় ভর করে ১০১তম বর্ষে পা বাগবাজার সর্বজনীনের
এবার ১০১ তম বর্ষে পা দিচ্ছে উত্তর কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো বাগবাজার সর্বজনীন।
আধুনিক যুগের পুজোর সঙ্গে জমকালো থিমের যুদ্ধে গিয়ে নয়, বরং স্নিগ্ধ সাবেকিয়ানা অক্ষুণ্ণ রেখে, ঐতিহ্যের হাত ধরে, এবার ১০১ তম বর্ষে পা দিচ্ছে উত্তর কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় পুজো বাগবাজার সর্বজনীন।
এখানে কোনও থিমের বাহার নেই। আছে নজরকাড়া মাতৃপ্রতিমা। একচালার ঠাকুর। পুরো সাজটাই ডাকের। কখনও ঐতিহ্যের সঙ্গে আপোষ করেনি তারা৷ তবুও প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক দর্শনার্থী আসেন উত্তর কলকাতার বিখ্যাত এই পুজো দেখতে। প্রতি বছরেই উপচে পড়া ভিড়, যা ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয় পুজো কমিটিকে। এই পুজো মন্ডপ চত্বরে বসে বিশাল মেলা।
এছাড়াও বাগবাজারের পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এখানকার সিঁদুর খেলা। বিজয়ার দিন সকাল থেকেই লাইন পড়ে এখানে। দূরদূরান্ত থেকে মহিলারা আসেন, অংশগ্রহণ করেন সিঁদুর খেলায়। এখানে মাকে সিঁদুর দিতে মাতেন আট থেকে আশি প্রত্যেক মহিলা। নিজেরাও মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়।
[আরও পড়ুন: সুন্দরবনে রাতভোর করম উৎসবে মাতলেন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো]
পুজোর মধ্যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয় না কমিটির পক্ষে। তবে পুজোর আগে-পরে সমাজসেবা মূলক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেমন, ষষ্ঠীর দিন এলাকার দরিদ্র শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া, মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা জানানো, দুঃস্থ পড়ুয়াদের বৃত্তি দান, কম্বল বিতরণ এসবও করে কমিটি।
এবছর পুজোর বাজেট প্রায় ১ কোটি টাকা। প্রতিবছর পুজো উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন রাজ্যপাল। স্থানীয় পৌরপিতা বাপী ঘোষ এবং সাংসদ শশী পাঁজা উপস্থিত ছিলেন খুঁটিপুজোয়।