
সারদা মামলায় সবাইকে যখন ডেকেছে, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়? প্রশ্ন বাবুলের
সারদা মামলায় বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারির দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূলের বিক্ষোভ অবস্থান থেকে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। তাঁর কথায়, সারদা মামলায় সবাইকে যখন ডেকেছে, কেন শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়?

বাবুল সুপ্রিয় বলেন, বিজেপি সিবিআইকে পরিচালিত করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সিবিআইকে ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী থাকাকালীন আমি দেখেছি, বিজেপির এই অভিষন্ধি। সিবিআই যখন সারদা মামলায় সবাইকে ডেকেছে, তাহলে কেন শুভেন্দুর অধিকারীকে ডাকবে না। এদিন প্রকাশ্যেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বাবুল।
বাবুলের কথায়, শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই ও ইডি থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন। অমিত শাহের পা ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কেননা শুভেন্দু অধিকারীকে ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। সারদা মামলায় তাঁর নাম উঠে এসেছে। তাই অন্যের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার আগে নিজের মুখ আয়নায় দেখুন শুভেন্দু অধিকারী। সিজিও কমপ্লেক্সের মঞ্চ থেকে এভাবেই গর্জে উঠলেন বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুল প্রশ্ন তোলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কি আত্মমর্যাদা আছে? থাকলে তিনি এমন নির্লজ্জ আচরণ করতেন না। তিনি বিজেপিতে গিয়ে নির্লজ্জের মতো আচরণ করছেন বলে দাবি বাবুল সুপ্রিয়ের। বাবুল সুপ্রিয় এদিনের মঞ্চ থেকেই বলেন, বিজেপি ছেড়েছি অনেক যন্ত্রণায়। তাই আর যাই করি বিজেপি আর করব না।
এদিন বাবুলের পাশাপাশি সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে গর্জে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি একে একে বিজেপি নেতাদের নাম সামনে আনেন। যাঁরা বিজেপির ওয়াসিং মেসিনে গিয়ে সাফ হতে চেয়েছেন তাঁদের একহাত নেন তৃণমূলের মুখপাত্র। হিমন্ত বিশ্বশর্মা থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর নাম উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে।
সারদা মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার দাবিতে এদিন অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্সে জমায়েত হয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ করে তৃণমূল। এই মঞ্চ থেকে একে একে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাবুল সুপ্রিয়, কুণাল ঘোষরা আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
কুণাল ঘোষ বলেন, সিবিআই অফিসাররা খারাপ নয়, আমি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধেও নয়। কিন্তু সিবিআইকে যেভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে খোঁচা দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। সিবিআই অফিসাররা জানেন, সারদার পিছনে কারা রয়েছেন। তাই তো তড়িঘড়ি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের পায়ে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, বলেন কুণাল।