বাবুল আছেন ফেসবুকে আর টুইটারে! মজার মিমে বজরংবলির কাছে ১১ কেজির লাড্ডু
করোনার লকডাউনে এলাকায় নেই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আছেন ফেসবুক আর টুইটারে। তবে কি সাংসদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন এলাকাবাসীর থেকে?
করোনার লকডাউনে এলাকায় নেই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আছেন ফেসবুক আর টুইটারে। তবে কি সাংসদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন এলাকাবাসীর থেকে? সংসদীয় এলাকায় আসছেন না, মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। তা নিয়েই ফেসবুক-টুইটারে মজার মিমের ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সেইসব ভিডিও ভাইরালও হয়েছে।
বজরংবলির কাছে ১১ কেজির লাড্ডু নিবেদন
এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে- এক ভক্ত বজরংবলির কাছে ১১ কেজির লাড্ডু নিবেদন করেছেন। তাঁর প্রার্থনা আসানসোলের সাংসদকে হাজির করার। কোথাও আবার প্রশ্নবাণ ছুটে এসেছে বাবুলকে লক্ষ্য করে। আবার মিসিং পোস্টারও পড়েছে ফেসবুক-টুইটারসহ সোশ্যাল মিডিয়ায়।
করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের আর্জি নিয়ে
প্রথম লকডাউন শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা এলাকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের আর্জি জানিয়েছিলেন। শনিবার মেয়র জিতেন্দ্র ডিওয়ারি তাঁর টুইটারে এ নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তিনি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র কাছে দাবি জানিয়েছেন করোনা ভাইরাস পরীক্ষা কেন্দ্রের কাজ কতদূর এগিয়েছে।
সাংসদ আসানসোলে আসতে পারছেন না কেন
তিনি প্রশ্ন তোলেন দিল্লির প্রতিনিধি দল লকডাউন ভেঙে যদি রাজ্যে আসতে পারে, তবে সাংসদ আসানসোলে পা রেখে কেন এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়াচ্ছে না। বিধায়ক-মেয়ররা যখন ত্রাণ বিলি করছেন তখন দেখা নেই সাংসদের। কেন তিনি আাসনসোলে এলে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না।
বাবুল যখন সম্রাট নিরো
মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, যখন রোম পুড়েছিল সম্রাট নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। আসানসোলের সাংসদে-মন্ত্রীরও সেই অবস্থা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যখন খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সাংসদ গান শোনাচ্ছেন। ভুয়ো পোস্ট করে কুৎসা করছেন রাজ্যের।
বিজেপির জবাব টুইটারে
এর জবাব দিয়েছেন বিজেপি। বিজেপির টুইটার থেকে পোস্ট করা হয়েছে, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় জনসমক্ষে কাজ করেন স্বচ্ছতার সঙ্গে, তৃণমূল নেতাদের মতো মিথ্যাচার করেন না। মিথ্যাচার করার জন্য আসানসোলবাসী দু-লক্ষ ভোটে হারিয়েছে তৃণমূলকে। শীঘ্রই ভাইরাসের পরীক্ষাগার হবে। ল্যাব খোঁজা চলছে।