বাবুল কি ‘প্রথম এগারো’য় ফিরতে চলেছেন! সুব্রতর আসনে প্রার্থী হয়ে প্রতিক্রিয়ায় জল্পনা
বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছেড়ে বলেছিলেন তাঁর একটাই দল বিজেপি, একটাই ক্লাব মোহনবাগান। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলে হঠাৎ করে যোগদানের পর সেই সমীকরণে রদবদল ঘটে যায়।
বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছেড়ে বলেছিলেন তাঁর একটাই দল বিজেপি, একটাই ক্লাব মোহনবাগান। কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূলে হঠাৎ করে যোগদানের পর সেই সমীকরণে রদবদল ঘটে যায়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেছিলেন বাংলাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার, সেই কাজের সুযোগ পেয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতদিন অপেক্ষার পর তিনি বালিগঞ্জে প্রার্থী হলেন। কিন্তু তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে কি তিনি খুশি?
বালিগঞ্জে প্রার্থী হয়ে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় তিনি ফলাও করে যে কথাগুলি বলেছিলেন, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাবুল সু্প্রিয় বলেছিলেন, আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় রাজনৈতিক মহলের অনেকেই ভেবেছিলেন আমি বড় কোনও পদ পাওয়ার জন্য তৃণমূলে এসেছি। কিন্তু তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আর বলেন, আমি বলেছিলাম, আমি প্রথম এগারোর প্লেয়ার। তা শুনে অনেকে অনেক কটাক্ষ করেছেন। আজ প্রমাণিত আমি বড় পদ পাওয়ার জন্য তৃণমূল ছাড়িনি। বাংলার হয়ে কাজ করার সুযোগ পাব বলেই এসেছিলাম তৃণমূলে। কিন্তু এতদিন তাঁকে ঠিক বাংলার কোন কাজে লাগানো হয়েছে বা হবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল। এতদিনে সেই সংশয় দূর হল।
বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে আসার পর তাঁকে আজ পর্যন্ত মূলস্রোতে দেখা যায়নি। তাঁর নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা ক্ষেত্রে। তাঁর নাম নিয়ে কলকাতার মেয়র পদে নানা জল্পনা হয়েছে। শেষে তাঁকে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হল। এরপর রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস, তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় আনবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার মন্ত্রিসভায় স্থান করে দিতেই তাঁকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে। আর বাবুলের ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে শত্রুঘ্ন সিনহাকে। রাজনৈতিক মহল তাই মনে করছে বাবুলকে নিয়ে সমস্ত জল্পনায় ইতি পড়তে চলেছে। এবার রাজ্যের বিধানসভায় তাঁর নতুন ইনিংস শুরু হতে চলেছে।
বাবুল সুপ্রিয় সেই প্রসঙ্গে বলেন, আমাকে বালিগঞ্জ বিধানসবা প্রার্থী করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি আমাকে মানুষের জন্য। কাজ করার সুয়োগ করে দিলেন। আজকের দিনে পুরনো কথা কিছু বলতে চাই না। আমি আহত হয়ে রাজনীতি ছেড়েছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বলেছিলেন, বাংলার জন্য কাজ করতে হবে। তাই ফের রাজনীতির অলিন্দে ফিরেছিলাম। তিনি আমাকে সেই সুযোগ করে দিলেন।
আসানসোল থেকে একেবারে কলকাতায়, তাও আবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আসনে প্রার্থী তিনি। সে প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, জানি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের গুরুত্বই আলাদা। আমি খুব আনন্দিত, য়ে আমাকে এমন একটা গুরুত্বের আসন থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমার প্রতি মমতাদি যে ভরসা রেখেছেন, আমি তাঁর বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।