‘আমরা কিশোর কুমারের গান শুনি, আমাদের প্রশান্ত কিশোরের কোনও দরকার নেই’
মমতার ‘দিদিকে বলো‘কে ফ্লপ কর্মসূচি বলে ব্যাখ্যা করে প্রশান্ত কিশোরের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, আমরা কিশোর কুমারের গান শুনি। আমাদের প্রশান্ত কিশোরের কোনও দরকার নেই।
মমতার 'দিদিকে বলো'কে ফ্লপ কর্মসূচি বলে ব্যাখ্যা করে প্রশান্ত কিশোরের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, আমরা কিশোর কুমারের গান শুনি। আমাদের প্রশান্ত কিশোরের কোনও দরকার নেই, আর দরকার হবেও না। যাঁর দরকার তিনি এনেছেন। কিন্তু আদতে লাভ হবে কি? প্রশ্ন তুললেন বাবুল।
আসানসোলের রানিগঞ্জে পার্টি অফিস উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে তিনি বলেন, দিদির 'দিদিকে বলো' আদতে একটা ফ্লপ কর্মসূচি। প্রশান্ত কিশোরকে ভাড়া করে এনে একটা ফ্লপ কর্মসূচি বানিয়েছেন দিদি। আমি তাই এই কর্মসূচির নাম দিয়েছে 'হরি বলো'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি করে আখেরে কোনও লাভ করতে পারবেন না।
বাবুলের কথায়, দিদিকে বলো এখন একটা হাস্যাস্পদ কর্মসূচিতে রূপান্তরিত হয়েছে।'দিদিকে বলো' নিয়ে সবাই মজা করছে। তারপর দিদিকে বলোতে দিদিকে তো পাওয়াই যাচ্ছে না। তাহলে আর দিদিকে বলো কর্মসূচি করে লাভ কি। সাধারণ মানুষ এই দিদিকে বলো নিয়ে বিরক্ত। ফোন করে কোনও রেসপন্স পাচ্ছেন না কেউ।
এরপর তিনি জলসংযোগের নমুনা রাখেন। নিজে রাস্তায় নেমে জনসংযোগ করেন। চা খেয়ে, গান গেয়ে হাততালি কুড়িয়ে বাবুল সেরে ফেললেন কাজের কাজ। প্রথমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেয়ে তিনি জনসংযোগ করেন জামুড়িয়াবাসীর সঙ্গে। জামুড়িয়ার হরিমন্দিরে গানের অনুষ্ঠানেও তিনি ঢুকে পড়েন। হারমোনিয়াম নিয়ে মন্দিরের বারান্দায় বসে একের পর এক ভজন, লোকগীতি পরিবেশন করেন।