বাড়িতেই চিকিৎসা টেলিমেডিসিনে! মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ শুনে কী বললেন বাবুল সুপ্রিয়
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই পরামর্শের কটাক্ষ করে এবার বাবুল সুপ্রিয় জানালেন, তাহলে কি হাসপাতালের সমস্ত বেড শেষ, দিদি।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর এই পরামর্শের কটাক্ষ করে এবার বাবুল সুপ্রিয় জানালেন, তাহলে কি হাসপাতালের সমস্ত বেড শেষ, দিদি। বিজেপির অভিযোগ ছিল বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চাপা হচ্ছে। এদিন মমতার বাড়িতে চিকিৎসা মন্তব্যকে পাথেয় করে ফের সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন বাবুল।
মমতার মন্তব্যে বিরোধীদের কুৎসা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আটকে পড়া রাজ্যের মানুষকে সহায়তা দিতে। কেননা ভিনরাজ্যে আটকে পড়া লক্ষ লক্ষ লক্ষ মানুষের কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাড়িই নিরাপদ বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা প্রচার করতে শুরু করেছে, কোয়ারেন্টাইন সুবিধা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছে রাজ্য।
বাংলার হাসপাতালে আর জায়গা নেই
আর সেই সূত্র ধরে বাবুল সুপ্রিয়ও খোঁচা দিলেন, করোনার রোগীতে ভরে গিয়েছে বাংলা। বাংলার হাসপাতালে আর জায়গা দিতে পারছেন না বলেই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাবুল মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের বক্তব্য পোস্ট করে জানিয়েছেন- ‘দিদি, তার মানে হাসপাতালের বেড কি ফুল। গন্ধটা সন্দেহজনক'
করোনা পরিস্থিত, চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতেও
মমতা এদিন জানান, কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে চাইলে করাতে পারে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চলতে পারে চিকিৎসা। হোম কোয়ারেন্টাইন সবথেকে নিরাপদ। কেননা হাসপাতালে গেলে সেখানে অন্য রোগীর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একমাত্র যাঁরা খুব সংকটজনক তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি কোয়ানেন্টাইন বাড়িতে হলেই নিরাপদ থাকবেন রোগী।
বাড়িতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই
মমতা বলেন, রাজ্যে করোনা চিকিৎসা নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, আইসোলেশন সেন্টার ও পৃথক করোনা হাসপাতাল করা হয়েছে। কেন্দ্রের সহযোগিতা ভিন্ন রাজ্যের তরফে যথাসম্ভব পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এই আঙ্গিকেই মমতার পরামর্শ কোয়ারেন্টাইন বলুন বা চিকিৎসা বাড়িও সবথেকে উপযুক্ত জায়গা। কেননা সেখানে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর সওয়াল
মমতা বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। যদি আরও লকডাউ বাড়ে, তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কী হবে, সেটা সর্বাগ্রে কেন্দ্রের ভাবা উচিত। তিনি মনে করেন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে পৃথক করে রাখার বন্দোবস্তই শ্রেয় পথ। মমতা বলেন, শ্রমিকদের ফেরানোর বন্দোবস্ত না করলে সংকট আরও বাড়বে।