মমতার ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসিতে ফাঁসার পাল্টা, দিলীপকে মজাদার জোকার তকমা বাবুলের
মমতার ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসিতে ফাঁসার পাল্টা, দিলীপকে মজাদার জোকার তকমা বাবুলের
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মজাদার জোকারের তকমা দিলেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়কে পিকনিক-মন্তব্যে বিঁধেছিলেন দিলীপ। তারই জবাবে টুইট করে মজাদার জোকারের তকমা দিয়ে দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। সেইসঙ্গে জবাব দিলেন কেন তিনি বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছিলেন।
বাবুলের টুইটে ‘বাজে বকা’র নমুনা
বাবুল সুপ্রিয় তাঁর টুইটে লেখেন, আবার দিলীপ ঘোষের ‘বাজে বকা' (ভার্বাল ডায়েরিয়া)-র একটা নমুনা পাওয়া গিয়েছে। পর পর তিনটি টুইটি করে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেই মতো আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁর সাহায্য চেয়েছিলাম। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য ছাড়া ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য জমি অধিগ্রহণের সেই কাজ সম্ভব হত না।
ঘোষকে মজাদার জোকার তকমা বাবুলের
এরপর তিনি ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ টেনে এনে লেখেন, জনতার স্বার্থে আমি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ১০০ ঝালমুড়ি পর্ব করতে রাজি আছি। এর পরেই তিনি দিলীপ ঘোষকে মজাদার জোকার তকমা দেন। লেখেন, উনি আমাকে বিজেপিতে কোণঠাসা করতে বহু অপচেষ্টা করে গিয়েছেন। এখন আবার তিনি বাজে বকা শুরু করেছেন।
তৃতীয় টুইটে জুনিয়র কটাক্ষ দিলীপকে
তৃতীয় টুইটে তিনি লেখেন, এটা ভাবলে বমি পায় যে, একজন বয়স্ক মানুষ যিনি রাজনীতিতে আমার থেকে জুনিয়র, বারংবার ওই প্রসঙ্গ টেনে আনেন এটা জেনেই যে আমি যা করেছিলাম, তা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের স্বার্থেই। এমন একজন ব্যক্তির বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে থাকাট ‘লজ্জাজনক'। তিনি দিলীপ ঘোষের নাম না করেই তিনটি টুইট করেন।
দিদিমণির ফিস-ফ্রাই ডিপ্লোম্যাসিতে বাবুল
দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ফিশফ্রাই খাওয়ানোর প্রসঙ্গ টেনে এনে বাবুলকে নিশানা করেন। দিলীপ বলেন, দিদিমণি ফিস-ফ্রাই ডিপ্লোম্যাসি শুরু করেছিলেন। বাবুল তাতেই ফেঁসে গিয়েছিলেন। শান্তনু ঠাকুর সম্প্রতি বিজেপির বিদ্রোহে নতুন মাত্রা দিয়ে পিকনিক বা বনভোজনের রাজনীতি করছেন। সেই প্রসঙ্গেই বাবুলের নাম করে আক্রমণ শানান দিলীপ ঘোষ।
দিলীপের পিকনিক-ডিপ্লোম্যাসির ব্যাখ্যা
দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, আমিও পিকনিক করেছি, সবাই পিকনিক করছে। শান্তনুও করছে। তাতে কী হয়েছে। পিকনিক করে সবাইকে একত্রিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়ছে। দুনিয়া পাল্টে গিয়েছে। তাই প্যাটার্ন পাল্টাচ্ছে রাজনীতিরও। বিজেপিতে পিকনিক পলিটিক্স চলছে এক বিশেষ লক্ষ্য। লক্ষ্য কাম টুগেদার, থিঙ্ক টুগেদার। এটা হল পিকনিক ডিপ্লোম্যাসি। এরপরই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ফিশফ্রাই ডিপ্লোম্যাসিতে বাবুলের ফাঁসার কথা উল্লেখ করেন।