ফেসবুক পোস্টে 'গুরুত্বপূর্ণ লাইন মুছে' যাওয়া নিয়ে গভীর রাতে অবস্থান স্পষ্ট করলেন বাবুল, চড়ল পারদ
'আমি লিখেছিলাম "সারাজীবন একটাই দলকে সাপোর্ট করেছি" একটাই দল করেছি ভারতীয় জনতা পার্টি। ' গভীর রাতের ঝোড়ো পোস্টে বাবুল এই বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই দিনের আরও বড় বোমা ফাটানো পোস্টে 'এডিট' এর গণ্ডগোল নিয়ে সাফাই দিয়ে দিলেন। সেখানে ফের একবার নতুন কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া নিয়ে বাবুলকে ঘিরে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে স্পষ্ট করে দিলেন নিজের অবস্থান।
গভীর রাতের পোস্টে কী জানালেন বাবুল
'আমি সাংসদ পদ থেকেও ইস্তিফা দিচ্ছি, এই লাইনটা জুড়তে গিয়ে, অরিজিনাল লেখাটা থেকে একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ লাইন মুছে গেছিলো !! তা থেকে অনেক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে !! তাই আলাদা করে ওই লাইনটা আবার পোস্ট করছি ।' ফের একবার তাঁকে ঘিরে বাংলার রাজনীতির দোলাচলকে উস্কে দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিলেন যে আগামীতে তাঁর রাজনৈতিক অভিযান কোনদিকে যেতে চলেছে।
তাহলে কি অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন বাবুল?
কার্যত বাংলার রাজনৈতিক জল্পনাকে মধ্যরাতে উস্কে দিয়ে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ' এটাও স্পষ্ট করে দিতে চাই যে আমি অন্য কোনোও রাজনৈতিক দল জয়েনও করছিনা'। প্রসঙ্গত, শনিবার বেলা থেকেই বাবুল সুপ্রিয়র অবস্থান ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা তিবনি ফেসবুক পোস্টে করতেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
জল্পনা উস্কে দেয় কোনও 'গুরুত্বপূর্ণ লাইন' এর মুছে যাওয়া?
এর আগে বাবুল সুপ্রিয় এক ঝোড়ো ফেসবুক পোস্টে রাজনৈতিক ভোল্টেজ চড়িয়ে লেখেন, ' সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গেলে রাজনীতিতে না থেকেও করা যায়। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিই আগে তারপর...। এই ফেসবুক পোস্টে তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন, সবার সব কথা শুনলাম, বাবা, মা, স্ত্রী, কন্যা, দু-একজন প্রিয় বন্ধুবান্ধব...। সবটুকু শুনে বুঝেই অনুভব করেই বলি, অন্য কোন দলেও যাচ্ছি না।'
কোন জল্পনা চড়তে থাকে?
বাবুল স্পষ্ট লেখেন যে টিএমসি বা কংগ্রেস, সিপিএম কোথাও তিনি যাচ্ছেন না। এরপরই সেই পোস্ট পর পর ২ বার এডিট করেন বাবুল। দেখা যায় সেখান থেকে 'অন্য কোনও দলে যাচ্ছি না' কথাটি। এরপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয় তাঁর দলবদল নিয়ে। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে, তাহলে বাবুলও কি এখন মুকুলের পথে? এই পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে বিজেপির হাত ধরে রাজনীতিতে আসা বাবুল সুপ্রিয় শনিবার গভীর রাতে জানান যে তাঁর পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ লাইনটিই মুছে গিয়েছে। আর তা থেকেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি।
বাবুলের পোস্টে এডিট এর পর পর ক্রমান্বয়
বাবুল সুপ্রিয়র বিকেলের যে পোস্ট ঘিরে পর পর এডিট দেখা যায়। তা রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টে ২ বার এডিট করেন বাবুল। প্রথমবার এডিট করে তিনি সংযোজন করেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। এক মাসের মধ্যে তিনি সাংসদের বাসভবন ছেড়ে দিচ্ছেন। তাঁর এই সাংসদ পদে ইস্তফার বার্তাটি আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়ার পর। তাতেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। আর তা আরও বাড়িয়ে দেন বাবুল সুপ্রিয় নিজেই। তবে রাত গভীর হতেই যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে বাবুল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দেন।