ভোটের টানে সারা বেলার গানে, ‘দত্তক’ গ্রামে ভুঁয়ে বসে আড্ডায় মাতলেন বাবুল সুপ্রিয়
কথায় আছে, ভোট বড় বালাই। সেই ভোটের টানেই নিজের সাংসদ এলাকায় দত্তক নেওয়া গ্রাম মাতালেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
কথায় আছে, ভোট বড় বালাই। সেই ভোটের টানেই নিজের সাংসদ এলাকায় দত্তক নেওয়া গ্রাম মাতলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গায়ক বাবুল সুপ্রিয়। নিজের শিল্পীসত্তার সঙ্গে তিনি যে মাটির মানুষ তাই বোঝালেন সালানপুরের সিধাবাড়ি গ্রামে। পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে মাটিতে বসেই আড্ডা মারলেন। আর সেই আড্ডার যখন মধ্যমণি শিল্পী বাবুল, তখন তো গান থাকবেই। বাবুলের আড্ডায় সাড়া দিলেন গ্রামবাসীরাও। জমে গেল বাবুলের ভোটপ্রচার।
এদিন সালানপুরে গিয়ে তিনি খতিয়ে দেখেন নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে কতটা উন্নয়ন হয়েছে। সালানপুরের এই সিধাবাড়িকে আদর্শ গ্রাম হিসেবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বাবুলের। সেই প্রসঙ্গেই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আর বাবুল ঢুকতেই গ্রামের মানুষেরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। নানা আবদার করেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কাছে।
বাবুল মানুষের এই আবদারে আপ্লুত। তিনি একেবারে ঘরের ছেলের মতো গ্রামবাসীদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে যান। মাটিতে বসেই শুরু হয় সেই আড্ডা। গ্রামের সকলের খোঁজ খবর নেন। কার কী চাওয়া রয়েছে, তা শোনেন। আর মাঝে মাঝেই গানের দু-এক কলি গেয়ে শোনান। জমজমাট এই আড্ডায় রীতিমতো ভোটপ্রচারও সেরে নেন তিনি।
এদিন বাবুলকে কাছে পেয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানান প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও শৌচালয় নির্মাণ নিয়ে। বাবুল উত্তরে জানান এগুলো বিডিও অফিসের মাধ্যমে হওয়ার কথা। এই উন্নয়নমূলক কাজকর্মগুলি না হওয়ায় তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত ও স্থানীয় প্রশাসনের ঘাড়ে দোষ চাপাতে দ্বিধা করেননি। তিনি এমন অভিযোগও করেন, রাজনীতির জন্য তাঁর দত্তক নেওয়া গ্রামকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
একেবারে খোলা মাঠে গ্রামের কচিকাঁচাদের সঙ্গেও তাঁকে আড্ডায় মাততে দেখা যায়। এই আড্ডার ফাঁকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর কাছে যাবতীয় দাবি-দাওয়া, আবদার করে বসেন গ্রামের আট থেকে আশির মানুষেরা। তিনি আশ্বাস দিয়ে যান পানীয় জল, রাস্তা, রাস্তার আলোর বন্দোবস্ত করবেন। কর্মীরা এদিন বাবুলের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁরা ভোট-সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার।