মুকুল-দিলীপ পর্বের মাঝেই বাবুলের বাড়িতে 'গোপন' মধ্যাহ্নভোজে কারা ! বিজেপিতে 'গোষ্ঠী-অঙ্ক' কোনপথে
দিল্লিতে সপ্তাহব্যাপী বিজেপি হাইকমান্ডের বৈঠক ঘিরে গত কয়েকদিন বাংলার রাজনৈতিক জমি বহু আলোড়ন দেখেছে। মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে মোদী-শাহের পোস্টার খোলার খবর থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পার্টিং একাংশের মুখ খোলা সহ একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে এদিন রাজধানীতে বিজেপির একাংশকে নিয়ে এক দাপুটে নেতার বাড়িতে হয়ে গেল মধ্যাহ্নভোজ। আর রিসর্ট রাজনীতির মতোই 'মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি' ভারতের ইতিহাসে ক্ষমতার অঙ্ক কষতে কতটা পারদর্শী তা নতুন করে বলার কিছু নেই!
মধ্যাহ্নভোজ ও অক্ষশক্তি
অন্তত বিজেপির ৬ থেকে ৭ জন সাংসদ এদিন হাজির ছিলেন দিল্লিতে বিজেপির নেতা তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে। এদিন বঙ্গ বিজেপির এই নেতাদের বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ ছিল বলে এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই মধ্যাহ্নভোজে দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি ঘিরেই চড়েছে জল্পনার পারদ। উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপি প্রধান জানিয়েছেন, বাবুলের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পর্কে যদিও তিনি কিছুই জানতেন না।
কারা ছিলেন মধ্যাহ্নভোজে?
জানা গিয়েছে, বিজেপির বঙ্গ প্রধান দিলীপ ঘোষকে ছাড়াই এই মধ্যাহ্নভোজ আয়োজিত হয়েছিল। বাবুলের বাসভবনে গিয়েছিলেন, স্বপন দাশগুপ্ত, অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ, নিশীথ প্রামাণিক সহ একাধিক বিজেপি নেতা। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। উল্লেখ্য, এঁদের মধ্যে অর্জুন সিং সরাসরি বিজেপি হাইকমান্ডের কাছে দিলীপের নামে একাধিক অভিযোগও করে এসেছেন।
দিল্লিতে কয়েকটা দিন..
দিল্লিতে বিজেপির বৈঠক শেষের পরেও একাধিক নেতা সেখানে থেকে যান। তবে দিলীপ ঘোষ সব বহু নেতাই কলকাতায় পা রেখেছেন। আর ঠিক দিলীপ ঘোষ কলকাতায় পা রাখার পরই কেন বাবুলের বাড়িতে এই মধ্যাহ্নভোজ হল, তা নিয়ে জল্পনার পারদ আকাশ ছুঁয়েছে।
দুই নেতা ও বিজেপির বৈঠক
উল্লেখ্য, বিজেপির সাম্প্রতি ক বৈঠকে স্বপন দাশগুপ্ত কিম্বা বাবুল সুপ্রিয় কাউকেই দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, বাবলুর আসালসোলের ২ বারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অন্যদিকে স্বপন দাশগুপ্ত মোদীর বেশ ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। বিজেপির এক সপ্তাহের বৈঠকে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়েও জল্পনার জল গড়াচ্ছে বহুদূর।
কৈলাস-বাবুল বৈঠক
বাবুল
সুপ্রিয়
বিজেপির
বৈঠকে
না
গেলেও,
সোমবার
সন্ধ্যেতেই
বাবুলের
সঙ্গে
দেখা
করেন
কৈলাস
বিজয়বর্গীয়।
সেখানে
রাজ্যের
বিজেপির
মধ্যে
গোষ্ঠীকোন্দলের
খবর
বাবুলের
কানে
তোলেন
বিজয়বর্গীয়।
এরপরই
এই
হাইপ্রোফাইল
বৈঠক।