বঙ্গ রাজনীতির মধ্যমণি রাজ্যপাল ধনকড়! 'অ্যাডভান্টেজ' রক্ষার্থে ঢাল নিয়ে ময়দানে বিজেপি
রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। এবার সেই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এই প্রসঙ্গে এদিন বাবুল বলেন, 'রাজ্যপাল ধনকড় একজন অত্যন্ত দক্ষ উকিল। উনি জানেন তৃণমূল সরকার কোথায় কোথায় অরাজকতা করছে।'

রাজ্যপাল ইস্যুতে বাবুলের আক্রমণ
রাজ্যপাল ধনকড়ের পদক্ষেপ নিয়ে বলতে গিয়ে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, 'রাজ্যপাল জানেন কীভাবে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যপাল সরকারি আমলাদের ডাকলে তাঁরা সময়মতো পৌঁছায় না। উনি রাজ্যপাল, উনি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করলেই বিজেপির মানুষ হয়ে যাবেন?"

তৃণমূলের নির্বুদ্ধিতা এবং সংকীর্ণমনস্কতা
তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্রকে সংবিধান অধিকার দেয়, রাজ্যে রাজ্যে রাজ্যপাল নির্বাচিত করার। তার মানে যদি হয়, রাজ্যপালরা কেন্দ্রের অথবা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে, তাহলে এটা তৃণমূলের নির্বুদ্ধিতা এবং সংকীর্ণমনস্কতা। তৃণমূল ভয় পেয়ে এই ধরনের বোকাবোকা অভিযোগ করছে। তাই ওরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছে যাক, তাতে কিছু এসে যায় না।'

ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই
এদিকে রাজ্যপালকে অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, 'ওই চিঠি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। ওই চিঠির কোনও মূল্য নেই। রাজ্যপালের উচিত এবং সঠিক কথা তৃণমূলের সহ্য হচ্ছে না।'

বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে মমতার
বছর দেড়েক আগে জগদীপ ধনকড় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার পর থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। রাজ্যপাল যত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন, ততই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সরাসরি রাজ্যপালকে সরানোর দাবি
কিন্তু এবার একেবারে সরাসরি রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে সরব হল তারা। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দাবি, রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা অতিক্রম করছেন। তাই রাজ্যপালকে সরাতে হবে। তাঁর বক্তব্য, সংবিধানে এই প্রতিবিধান রয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রপতি কোনও রাজ্যপালকে অপসারিত করতে পারেন।
স্পষ্ট হচ্ছে দেওয়াল লিখন! বিজেপি ঘনিষ্ঠতা বাড়তেই মহারাজের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি মমতার