বাংলায় বিজেপির অন্দরে তৃণমূলের 'দূত'রা ভাঙন ধরাচ্ছেন! ঘাসফুলের 'চাল' ফাঁস করলেন বাবুল
দিল্লিত সাতদিন ধরে যে হাইভোল্টেজ বৈঠক বিজেপির অন্দরে হয়েছে সেখানে হাজির ছিলেন না দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ববের কোনও বড় নেতা। কেন তাঁড়ের গড় হাজিরি? এই প্রশ্ন বারবার উঠেছে রাজনীতির অলিন্দে। জানা যায়, রাজ্য নেতৃত্ব নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতাদের যে ক্ষোভ ছিল তা কেন্দ্রীয় নেতাদের কানে সমস্তই পৌঁছেছে। এদিকে, গোটা ঘটনাকেই 'ষড়যন্ত্র'এর তত্ত্ব দিয়ে কারণ ব্যাখ্যা করছেন রাজ্য বিজেপির দাপুটে নেতা বাবুল সুপ্রিয়।

বাবুল সুপ্রিয় তত্ত্ব
বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়র দাবি তৃণমূল থেকে একাধিক 'দূত' পাঠিয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপিতে ভাঙনের যে খবর মিডিয়ায় আসছে, তা বহুদিন ধরে তৃণমূলের বানানো ছক। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই কাজের নেপথ্যে রয়েছে বলে দাবি আসানসোলের বিজেপি সাংসদের।

কার দিকে ইঙ্গিত বাবুলের?
উল্লেখ্য, এক প্রথম সারির বাংলা দৈনিককে দেওয়া বক্তব্য়ে বাবুল সুপ্রিয়র ইঙ্গিত ছিল তৃণমূলের কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। যাঁকে ঘাসফুল পার্টি রাজ্য মুখপাত্র করেছে সদ্য। বাবুলের দাবি, তৃণমূল কিছু মিথ্যা গল্প রটাচ্ছিল। যাঁরা এই সব রটাচ্ছিলেন তাঁদের একজন মমতার পার্টিতে দলীয় মুখপাত্রের পদ পেয়ে গিয়েছেন, বলে বক্তব্য় প্রকাশ করেন বাবুল। ফলে তাঁর ইঙ্গিত যে কোনদিকে তা নতুন করে বলার কিছু নেই।

কুণাল-মুকুল বৈঠক
কুণাল ঘোষের সঙ্গে মুকুল রায়ের বৈঠক ঘিরে বাংলার রাজনীতির মাটিতে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলেছে। মুকুল ক্যাম্পের দাবি, কুণাল ঘোষ নিজে এসে মুকুলের সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই তৃণমূলের তরফে বিজেপির বৈঠকের অন্দরে হাতাহাতি, উত্তেজনার তত্ত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। আর এতেই বাবুল সুপ্রিয়র মতো নেতাদের দাবিস তৃণূল ঠাণ্ডা মাথায় অঙ্ক কষে বিজেপির অন্দরের কোন্দল বাইরে আনার চেষ্টা করছে।

বাবুলের বাড়িরে ভোজ
অন্তত বিজেপির ৬ থেকে ৭ জন সাংসদ এদিন হাজির ছিলেন দিল্লিতে বিজেপির নেতা তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে। এদিন বঙ্গ বিজেপির এই নেতাদের বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণ ছিল বলে এক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এই মধ্যাহ্নভোজে দিলীপ ঘোষের অনুপস্থিতি ঘিরেই চড়েছে জল্পনার পারদ। উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপি প্রধান জানিয়েছেন, বাবুলের বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সম্পর্কে যদিও তিনি কিছুই জানতেন না।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও বঙ্গ বিজেপি
উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কী চলছে তার বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল হাইকমান্ড। নাড্ডা শিবিরের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, দলের কাছে সমস্ত শিবিরের গুরুত্বই সমান। ফলে যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি .পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। বাংলার বিজেপির অন্দরে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেতৃত্বকে বিতর্ক মেটাবার রাশ টানতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

তৎপরতায় বিজেপি
এই সমস্ত জটিলতার মধ্যে বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ খুবই প্রাসঙ্গিক। সেখানে বিজেপির বিক্ষুব্ধ এক গোষ্ঠীতে মানিয়ে নিতেই কি গেরুয়া শিবির এই মধ্যাহ্নভোজ বাবুলকে দিয়ে আয়োজিত করায়? সেখানে স্বপন দাশগুপ্ত কি আদৌও মনোমালিন্য সমাধানের জন্য় বিশেষ ভূমিকা নেন? এই সমস্ত নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
