দিদির সত্য মানেই আসলে অসত্য! রাজ্যের 'রিপোর্ট' তুলে ধরে মমতাকে আক্রমণ বাবুলের
করোনা আবহে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল খালি হাতে রাজ্যকে কাজ করতে হয়েছে। এরই জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল
করোনা আবহে বারবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল খালি হাতে রাজ্যকে কাজ করতে হয়েছে। এরই জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যের পাঠানো রিপোর্ট তুলে ধরে তাঁর দাবি, দিদির সত্য মানেই আসলে অসত্য। ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ তুলেছিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।
রাজনীতিতে ফের সক্রিয় শোভন! বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণ তৈরি
নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণ
নবান্নে করা সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, কেন্দ্র কী সাহায্য করেছে রাজ্যকে। তিনি বলেছিলেন রাজ্য ভেবেছিল অন্তত ১০ হাজার ভেন্টিলেটর মেশিন পাবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, মাস্ক, পিপিই কথাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যা দিয়েছিলেন তা কিছুই নয়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল খালি হাতে কাজ করতে হয়েছে।
অসত্যের মধ্যে রাজনৈতিক তঞ্চকতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইসব মন্তব্যের প্রতিবাদ করে টুইটে জবাব দিয়েছেন বাবুল। সেখানে রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্ট তুলে ধরে তিনি আক্রমণ করেছেন। আরএনএ কিট, ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া, আরটি পিসিআর কিট পর্যাপ্ত সংখ্যার রাজ্যের হাতে রয়েছে বলে রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি করেছেন বাবুল।
দিদির সত্য মানেই আসলে অসত্য
বাবুল বলেন নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় সামনে আয়না রাখবেন। বারবার অসত্য বললে তা সত্যি হয়ে যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বাবুল দাবি করেন সাংবাদিক সম্মেলনে ১০ হাজার ভেন্টিলেটরের কথা বললেও, তিনি ৩০০ ভেন্টিলেটর চেয়েছিলেন। কেন্দ্রের তরফে ৩২০ টি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের হাতে ২৬০টির মতো ভেন্টিলেটর পৌঁছে গিয়েছে।
রাজ্যের জন্য ৫ লক্ষ ৮০ হাজার পিপিই দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে রাজ্য ইতিমধ্যেই ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার পিপিই পেয়ে গিয়েছে। রাজ্যের জন্য ১১ লক্ষ ৬৯ হাজার এন ৯৫ মাস্ক দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের হাতে পৌঁছে গিয়েছে ১১ লক্ষ ২৯ হাজার।
বাবুল দাবি করেছেন, এইসব হিসেব সবই রাজ্যের পাঠানো। কেন্দ্র কিন্তু রাজ্যে এসে এই রিপোর্ট তৈরি করেনি, মন্তব্য করেছেন বাবুল।
সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ
টুইটার পোস্টে সুজন চক্রবর্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে গুলবাজ টি গ্রেট বলেছেন। পাশাপাশি গল্পের গরু গাছে উঠে বসে আছে বলেও মন্তব্য করেছেন। পোস্টে সুজন চক্রবর্তী দাবি করেছেন, ২১ জুলাই ভার্চুয়াল সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে রাজ্য সরকার কোভিড পরিস্থিতিতে ১ লক্ষ করে টাকা দিয়েছে। তার মানে সাত হাজার কোটি টাকা। সুজন চক্রবর্তীর প্রশ্ন কেউ কি এই টাকা পেয়েছেন।