আমাকে অপমানের চেষ্টা, ভাবমূর্তি নষ্ট করতে টুইট, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
তাঁকে, তাঁর সরকারকে এবং মুখ্যসচিবকে অপমানের চেষ্টা করা হয়েছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কেন এই পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত শুক্রবার প্রধানম
তাঁকে, তাঁর সরকারকে এবং মুখ্যসচিবকে অপমানের চেষ্টা করা হয়েছে। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। কেন এই পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী (narendra modi) কলাইকুন্ডায় বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে শুক্রবারেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছিল বিজেপি।
পলিটিকাল পার্টির মিটিং
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, শুক্রবার কলাইকুণ্ডায় যে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন, তা ছিল রাজনৈতিক বৈঠক। প্রসঙ্গত ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বৈঠকের রাজনীতি করণে জড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। সেখানে রাজ্যপাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিরোধী নেতা থাকলেও, সরকারের তরফে তিনি ছিলেন একা।
একতরফা খালি চেয়ার রাখা হয়েছিল
মুখ্যমন্ত্রী
এদিন
বলেন,
শুক্রবারের
বৈঠকে
একতরফা
চেয়ার
খালি
রাখা
হয়েছিল।
কিন্তু
তিনি
আগেই
জানিয়েছিলেন,
বৈঠকে
তিনি
যোগ
দেবেন
না।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
তাঁর
কর্মসূচি
আগে
থেকেই
ঠিক
ছিল।
পরে
বৃহস্পতিবার
প্রধানমন্ত্রী
অফিস
থেকে
প্রধানমন্ত্রীর
সূচি
জানানো
হয়।
তিনি
প্রধানমন্ত্রীর
জন্য
হেলিপ্যাডে
মুখ্যসচিবকে
নিয়ে
২০
মিনিট
অপেক্ষা
করেছেন
অনেক্ষণ।
এরপর
প্রধানমন্ত্রীর
সঙ্গে
কথা
বলেন।
প্রধানমন্ত্রী
কাছ
থেকে
তাঁর
পরের
কর্মসূচি
দিঘায়
প্রশাসনিক
বৈঠকে
যোগ
দিতে
তিনবার
মৌখিক
অনুমতি
নিয়েছেন
বলে
জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর
অফিসই
ভুল
খবর
দিয়েছে
সংবাদমাধ্যমকে।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
মিটিং-এ
সবাই
থাকাতেও
কোনও
আপত্তি
ছিল
না।
কিন্তু
বাধ
সেধেছে
আগে
তৈরি
থাকা
কর্মসূচি।
কেননা
তাঁর
কাথা
বাংলার
মানুষের
অধিকারই
প্রাধান্য।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ
মুখ্যমন্ত্রী
এদিন
অভিযোগ
করেন,
বিজেপি
রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা
বশতই
এইসব
করছে।
রাজ্যে
তৃণমূলের
কাছে
পর্যুদস্ত
হওয়াকেই
বিজেপি
মেনে
নিতে
পারছে
না।
মুখ্যমন্ত্রী
দাবি
করেন,
প্রধানমন্ত্রীর
ডাকা
দু-একটি
বৈঠক
বাদ
দিলে
তিনি
সবকটিতেই
উপস্থিত
ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
বাংলার
উন্নয়নের
জন্য
তিনি
প্রধানমন্ত্রীর
পা
পর্যন্ত
ধরতে
রাজি
আছেন।
মুখ্যমন্ত্রী
এদিন
প্রশ্ন
তোলেন,
দিন
কয়েক
আগে
প্রধানমন্ত্রী
তো
গুজরাতে
গিয়েছিলেন,
সেখানে
কেন
তখন
বিরোধী
নেতাকে
বৈঠকে
ডাকা
হয়নি।
প্রসঙ্গত
এই
বিষয়
নিয়ে
টুইট
করেছিলেন
গুজরাতের
কংগ্রেস
নেতা
ভরত
সোলাঙ্কি।
আমাকে অপমানের চেষ্টা, মুখ্যমন্ত্রীর ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে টুইট
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুখ্যসচিবকে বিরক্তি করতেই এই সিদ্ধান্ত। কেননা তার অনেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারই আলাপান বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাকরির মেয়াদ তিনমাস বাড়িয়েছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সকাল ছটাই হোক কিংবা রাত বারোটা সবসময়ই তিনি ফোন ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি আবার কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীরও মেয়ে।
তাঁর আগে থেকে কর্মসূচির কথা সরকারিভাবে জানানো সত্ত্বেও তাঁকে অপমানের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সফরসঙ্গী হওয়ায় মুখ্যসচিবকেও নিশানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, শুক্রবার সন্ধের পর থেকে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির তরফে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার কালীঘাটের বাড়িতে একদা ছায়াসঙ্গী সোনালী, তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তুঙ্গে