খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা
jalpaiguri, press club, journalist, tmc, krishna das, জলপাইগুড়ি, সাংবাদিক, তৃণমূল কংগ্রেস, কোতোয়ালি থানা
একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে জলপাইগুড়িতে। সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, মোবাইল কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রাননাশের হুমকি সহ একাধিক অভিযোগ তৃনমূলের নেতা কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল।
কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হতে চলেছে জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাব। ক্লাবের সভাপতি পিনাক প্রিয় ভট্টাচার্য অভিযোগ করে বলেন, 'গত সোমবার পঞ্চানন বর্মনের ছেলে অসিত বর্মনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি এক বৃদ্ধকে কালী পুজো প্যান্ডেলের ভিতরে মারধর করে। স্থানীয় তৃনমূল নেতা কৃষ্ণ দাস, প্রধান হেমব্রম সেখানে সালিসি সভায় বসায়, খবর সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিকরা। সেখানে গেলে কৃষ্ণ দাস ও তাঁর দলবল সংবাদমাধ্যমের কর্মিদের ওপর হামলা করে। খবর না করার জন্য হুমকি সহ মোবাইল কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলার জন্য হুমকি দেন।'
জানা গিয়েছে, পাতাকাটা ঘোষয়াড়া জুনিয়র হাইস্কুলের প্রাঙ্গনে কালী পুজোর প্রসাদ বিতরন হচ্ছিল। বাচ্চারা বসে প্রসাদ খাচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎই অসিত বর্মন এসে মারধোর শুরু করে। পুজো মন্ডপে গিয়ে প্রসাদের হাঁড়ি ফেলে দেয়। চেয়ার ভেঙে দিয়ে মারধোর করতে থাকে এক বৃদ্ধকে। আহত অবস্থায় বৃদ্ধকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমনের ঘটনায় সময় ঘটনাস্থলে ডিএসপি হেডকোয়াটার প্রদীপ সরকার, আইসি কোতয়ালি বিশ্বাশ্রয় সরকার উপস্থিত ছিলেন। পুলিশি উপস্থিতিতে কিভাবে সংবাদ মাধ্যমের ওপর আক্রমন হলো এবং মোবাইল কেড়ে নেবার ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি পিনাক প্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি আরও জানান, এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ করেন কৃষ্ণ দাস। পুলিশ এর পরেও কোন কড়া পদক্ষেপ নেয়নি। সোমবারের ঘটনার পরে পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানানোর পরেও কৃষ্ণ দাসের অনুগামী মনিন্দ্রনাথ বর্মন কদমতলা মোড়ে পুলিশের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের কুশপুতুল পোড়ান। কিন্তু তাও উদাসীন পুলিশ মহল। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষমা চান।
অভিযুক্ত কৃষ্ণ দাস ফেসবুক লাইভে সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কোন হুমকি দেয় নি বলে দাবি করেন। এদিন কোতয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।