শুভেন্দু-গড়ে বিজেপি কি চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠতে পারবে, একনজরে তমলুকের ভোট ইতিহাস
প্রথম পাঁচ দফায় ২৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় আটটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। একঝলকে তমলুক ভোট ইতিহাস।
প্রথম পাঁচ দফায় ২৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় আটটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। একঝলকে তমলুক ভোট ইতিহাস।তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে ভোট হবে এই দফায়। তার আগে ফিরে দেখা তমলুকের ভোট-ইতিহাস।
তমলুক
বাংলার ৪২ লোকসভার কেন্দ্রের মধ্যে ৩০ নম্বর লোকসভা কেন্দ্র হল এই তমলুক। এই কেন্দ্র প্রথমে কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, বাম আমলে প্রাধান্য দেখিয়ে এসেছে সিপিএম। মাঝে শুধু একবারই ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল তমলুক কেন্দ্রটি। শেষ তিনবার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
কোন কোন বিধানসভা
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র হল- তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া ও নন্দীগ্রাম। এই সাতটি কেন্দ্রই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধীন।
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭৭
১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে মোট পাঁচ নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন সতীশচন্দ্র সামন্ত। প্রথম তিনবার তিনি সাংসদ হন কংগ্রেসের টিকিটে। শেষ দু-বার তিনি ছিলেন বাংলা কংগ্রেসের সাংসদ। ১৯৭৭ সালে সতীশচন্দ্র কংগ্রেসে ফিরে গিয়ে ভারতী লোকদলের সুশীল কুমার ধাড়ার কাছে পরাজিত হন।
১৯৮০ থেকে ১৯৯৬
এরপর ১৯৮০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত টানা চারটি নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ছিল বামেদের দাপট। সিপিএমের সত্যগোপাল মিশ্র টানা চারটি টার্ম সাংসদ নির্বাচিত হন তমলুক থেকে। তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় কংগ্রেসের জয়ন্ত ভট্টাচার্য এই কেন্দ্র সাংসদ হন ১৯৯৬ সালে। তিনি পরাজিত করেন লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠকে।
১৯৯৮ থেকে ২০০৯
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা তিনটি নির্বাচনে এরপর জেতেন সিপিএমের লক্ষ্মণ শেঠ। তথন কংগ্রেস ভেঙে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস হয়েছে। প্রথম দুবার তিনি সাংসদ হন নির্মলেন্দু ভট্টাচার্যকে হারিয়ে। ২০০৪ সালে তিনি হারান শুভেন্দু অধিকারীকে। এরপর ২০০৯ সালে শুভেন্দু বদলা নেন লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে। সেই শুরু হয় তৃণমূলের জয়যাত্রা।
২০১৪ সালের ফল
২০১৪-র নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী সিপিএমের ইব্রাহিম আলিকে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৪৮১ ভোটে পরাজিত করেন। শুভেন্দু ভোট পান ৭,১৬,৯২৮টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের ইব্রাহিম আলির প্রাপ্ত ভোট ৪,৭০,৪৪৭। বিজেপির বাদশা আলম পান ৮৬,২৬৫ ভোট। আর কংগ্রেসের আনোয়ার আলি পান ২৯,৬৪৫ ভোট।
২০১৬ সালের উপনির্বাচন
২০১৬-র উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের দিব্যেন্দু অধিকারী সিপিএমের মন্দিরা পাণ্ডাকে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫২৮ ভোটে পরাজিত করেন। দিব্যেন্দু ভোট পান ৭,৭৯,৫৯৪টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের মন্দিরা পাণ্ডার প্রাপ্ত ভোট ২,৮২,০৬৬। বিজেপির অম্বুজাক্ষ মোহান্তি পান ১,৯৬,৪৫০ ভোট। আর কংগ্রেসের বটব্যাল পার্থ পান ১৯,৮৫১ ভোট।
২০১৯-এ কারা প্রার্থী
তৃণমূল কংগ্রেস এবার সিটিং এমপি দিব্যেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করেছে। বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সিদ্ধার্থ নস্কর। সিপিএম প্রার্থী করেছে ইব্রাহিম আলিকে। কংগ্রেসের প্রার্থী লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ।