২০১৪-য় পরিবর্তন হয়েছিল, ২০১৯-এও কি তাই! ফিরে দেখা ভোট-ইতিহাস জলপাইগুড়ির
জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জে ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। তার আগে তিন কেন্দ্রের ভোট ইতিহাসের দিকে আরও একটিবার ফিরে দেখা। একঝলকে জলপাইগুড়ির ভোট ইতিহাস।
প্রথম দফায় দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় তিনটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও রায়গঞ্জে ভোট হবে এই দ্বিতীয় দফায়। তার আগে তিন কেন্দ্রের ভোট ইতিহাসের দিকে আরও একটিবার ফিরে দেখা। একঝলকে জলপাইগুড়ির ভোট ইতিহাস।
জলপাইগুড়ি
বাংলার ৪২ লোকসভার কেন্দ্রের মধ্যে তিন নম্বর লোকসভা কেন্দ্র হল এই জলপাইগুড়ি। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত এই লোকসভা আসন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র হল- মেখলিগঞ্জ, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রাজগঞ্জ, দেবগ্রাম-ফুলবাড়ি ও মাল। এই সাতটি কেন্দ্রের মধ্যে মেখলিগঞ্জ কোচবিহার জেলায়, বাকি ছটি বিধানসভা কেন্দ্র জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত।
১৯৬২ থেকে ১৯৭১
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রটি তৈরি হয় ১৯৬২ সালে। তারপর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনটি নির্বাচন হয়েছে। এই তিন নির্বাচনেই এই কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হয়েছে কংগ্রেস। জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে প্রথম সাংসদ হন নলিনীরঞ্জন ঘোষ। ১৯৬৭ সালে এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন বিএন কাথাম। আর ১৯৭১ সালে জয়ী হন কংগ্রেসের টুনা ওঁরাও।
১৯৭৭ এর নির্বাচনে
১৯৭৭ সালে নির্বাচনে এই কেন্দ্র কংগ্রেস রাজের অবসান হয়। ৭৭-এর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে খগেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে জনতা দলের সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারান।
১৯৮০ থেকে ২০০৯
১৯৮০ থেকে ২০০৯-এই ২৯ বছর জলপাইগুড়ি কেন্দ্র ছিল বামফ্রন্টের দখলে। সিপিএমের প্রার্থীরাই এই কেন্দ্র থেকে বরাবর জয়ী হয়ে এসেছেন। ১৯৮০ সালে এই কেন্দ্রে সাসংদ নির্বাচিত হল সুবোধ সেন। তারপরের দু-বার অর্থাৎ ১৯৮৪ ও ১৯৮৯ জয়ী হন মানিক স্যান্যাল। ৯১ ও ৯৬-এ জিতেন্দ্রনাথ দাস সাংসদ হন। ৯৮, ৯৯ ও ২০০৪-এ সাংসদ নির্বাচিত হন মিনতি সেন। ২০০৯-এ এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন সিপিএমের মহেন্দ্রকুমার রায়।
২০১৪ নির্বাচনের ফল
২০১৪ সালে জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হন তৃণমূলের বিজয়চন্দ্র বর্মন। তিনি সিপিএমের মহেন্দ্রকুমার রায়কে ৬৯,৬০৬ ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন। এই কেন্দ্রে তৃতীয় হন বিজেপির সত্যলাল সরকার। চতুর্থ হন কংগ্রেস প্রার্থী সুখবিলাস বর্মা। '৭৭ সালের পর প্রথমবার বামফ্রন্ট তথা সিপিএমের হাতছাড়া হয় এই আসনটি।
২০১৪ সালে কার কত ভোট
২০১৪ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ৪,৯৪,৭৭৩ ভোট। সিপিএম পেয়েছিল ৪,২৫,১৬৭ ভোট, বিজেপি পেয়েছিল ২,২১,৫৯৩ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী ভোট পান ৮৭,৫৮৮। বিএসপি প্রার্থী ১২ ভোট পান আর নোটায় পড়ে ১৬ হাজারেরও বেশি ভোট।
২০১৯-এ কারা প্রার্থী
তৃণমূল এবার সিটিং এমপি বিজয়চন্দ্র বর্মনকে টিকিট দিয়েছে। বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জয়ন্ত রায়। সিপিএমের প্রার্থী ভগীরথ রায়। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মণিকুমার দর্নাল।