নির্বাচনে তপ্ত লালমাটি! ফিরে দেখা বীরভূমের ভোট ইতিহাস
প্রথম তিন দফায় ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। তার আগে ফিরে দেখা বীরভূমের ভোট-ইতিহাস।
প্রথম তিন দফায় ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় আটটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুরে ভোট হবে এই দফায়। তার আগে ফিরে দেখা বীরভূমের ভোট-ইতিহাস।
একনজরে বীরভূম কেন্দ্র
বাংলার ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪২ নম্বর কেন্দ্র হল বীরভূম। স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে থাকলেও দীর্ঘসময় ধরে কেন্দ্রটি বামেদের দখলে ছিল। বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আগে কেন্দ্রটি তফশিলি সংরক্ষিত থাকলেও ২০০৯ থেকে তা উঠে যায়। এই কেন্দ্র মূলত গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গঠিত। বর্তমানে এই কেন্দ্রের সাংসদ অভিনেত্রী শতাব্দী রায়।
কোন কোন বিধানসভা
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র। সাতটিই রয়েছে বীরভূম জেলার মধ্যে। কেন্দ্রগুলি হল, দুবরাদপুর, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, হাসান, নলহাটি এবং মুরারই।
১৯৭১ থেকে ২০০৪
১৯৮৪
সালে
বীরভূম
কেন্দ্রের
সাংসদ
নির্বাচিত
হয়েছিলেন
সিপিএম-এর
গদাধর
সাহা।
তিনি
কংগ্রেসের
বাদল
বাগদিকে
১৩৪৮১
ভোটে
হারিয়েছিলেন।
১৯৮৯
সালে
এই
কেন্দ্রে
প্রার্থী
বদল
করে
সিপিএম।
ভোটের
ব্যবধান
কয়েকগুণ
বেড়ে
যায়।
নতুন
প্রার্থী
রামচন্দ্র
ডোম
৬১৯৪৯
ভোটে
হারিয়ে
দেন
কংগ্রেস
প্রার্থীকে।
২
বছরের
মধ্যে
ফের
ভোট।
১৯৯১
সালের
ভোটের
সিপিএম
প্রার্থী
রামচন্দ্র
ডোমের
সঙ্গে
কংগ্রেস
প্রার্থী
শুভেন্দু
মণ্ডলের
ব্যবধান
বেড়ে
হয়
১
লক্ষ
৬১
হাজারেরও
বেশি।
১৯৯৬-এর
ভোটে
রামচন্দ্র
ডোম
কংগ্রেস
প্রার্থী
মমতা
সাহাকে
পরাজিত
করেন
প্রায়
১
লক্ষ
১১
হাজার
ভোটে।
১৯৯৮-এর
ভোটে
বীরভূম
কেন্দ্রে
লড়াই
করেছিল
বিজেপি।
সিপিএম
প্রার্থী
রামচন্দ্র
ডোম
বিজেপি
প্রার্থী
মোহনলাল
চৌধুরীকে
১
লক্ষ
৬১
হাজারের
বেশি
ভোটে
হারিয়ে
দেন।
১৯৯৯
সালেও
এই
কেন্দ্রের
প্রথম
দুই
প্রার্থী
ছিলেন
আগের
বারের
মতোই।
আর
ভোটের
ব্যবধান
ছিল
কাছাকাছিই।
রামচন্দ্র
ডোম
মোহনলাল
চৌধুরীকে
পরাজিত
করেছিলেন
১
লক্ষ
৫৭
হাজারের
বেশি
ভোটে।
২০০৪-এর
নির্বাচনে
রামচন্দ্র
ডোমের
নিকটতম
প্রার্থী
ছিলেন
কংগ্রেসের
গোপাল
চন্দ্র
দাস।
রামচন্দ্র
ডোম
নির্বাচনে
জয়ী
হয়েছিলেন
১৯১,৬১২
ভোটে।
২০০৯ থেকে ২০১৪
২০০৯ সালে ডিলিমিটেশনের কারণে কেন্দ্রটি তফশিলি থেকে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য হয়ে যায়। অভিনেত্রী শতাব্দী রায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি সিপিএম প্রার্থী ব্রজ মুখোপাধ্যায়কে ৬১ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনেও জয়লাভ করেন শতাব্দী রায়। সিপিএম প্রার্থী মহঃ কামরে ইলাহিকে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি।
২০১৪তে কার ভোট কত
২০১৪-তে এই কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন ১,৪৯৫,১০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা যথাক্রমে ৭৭৩,৪৫৭ এবং ৭২১,৬৫১ জন। ভোটদানের হার ছিল প্রায় ৮৫ শতাংশের মতো। এই কেন্দ্রটি মূল গ্রামীন এলাকা নিয়েই গঠিত। প্রায় ৮৬ শতাংশ এলাকা গ্রামীন। শহুরে এলাকা ১৪ শতাংশের মতো। এই কেন্দ্রে তফশিলি জাতির মানুষের সংখ্যা ২৯.০৩ শতাংশ এবং উপজাতি মানুষের সংখ্থা ৬.১১ শতাংশ। ২০১৪-তে শতাব্দী রায় পেয়েছিলেন ৪৬০,৫৬৮ ভোট, সিপিএম-এর মহঃ কামরে ইলাহি পেয়েছিলেন ৩৯৩,৩০৫ ভোট, বিজেপির জয় বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ২৩৫,৭৫৩ ভোট, জাতীয় কংগ্রেসের সিরাজ জিম্মি পেয়েছিলেন ১৩২,০৪ ভোট।
২০১৯-এর প্রার্থী করা
এবার বীরভূম আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের শতাব্দী রায়। সিপিএম-এর প্রতীকে লড়াই করছেন রেজাউল করিম এবং বিজেপির তরফে দুধকুমার মণ্ডল। কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে ইমাম হোসেনকে।