ফিরে দেখা বর্ধমান-দুর্গাপুরের ভোট ইতিহাস
প্রথম তিন দফায় ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। ফিরে দেখা বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোট-ইতিহাস।
প্রথম তিন দফায় ১০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় আটটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুরে ভোট হবে এই দফায়। তার আগে ফিরে দেখা বর্ধমান দুর্গাপুরে ভোট-ইতিহাস।
একনজরে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র
বর্ধমান
পূর্ব
ও
পশ্চিমের
এলাকা
মিলিয়ে
এই
আসনটি
তৈরি
হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে
লোকসভা
কেন্দ্রগুলির
মধ্যে
এর
ক্রমিক
সংখ্যা
৩৯।
আগে
কাটোয়া,
বর্ধমান
ও
দুর্গাপুর
লোকসভা
কেন্দ্র
ছিল।
ডিলিমিটেশনের
পর
২০০৯
সাল
থেকে
এই
কেন্দ্রে
ভোট
হচ্ছে।
দুটি
কেন্দ্রে
এই
অঞ্চলকে
ভাগ
করা
হয়েছে।
বর্ধমান
পূর্ব
ও
বর্ধমান-দুর্গাপুর।
এখানকার
মোট
জনসংখ্যা
২২
লক্ষ
১৫
হাজার
৭৭১
জন।
তার
মধ্যে
৫৩.৭৫
শতাংশ
গ্রামে
ও
শহরে
বসবাস
করেন
৪৬.২৫
শতাংশ
মানুষ।
ফলে
দুই
ধরনের
জনসংখ্যাই
প্রায়
সমান।
এই
কেন্দ্রে
তপশিলি
জাতি-উপজাতি
মানুষের
সংখ্যাও
৩০
শতাংশের
বেশি।
গত
কয়েক
বছরে
বিশেষ
করে
২০১৬
সালের
বিধানসভা
নির্বাচনের
পর
থেকে
এই
কেন্দ্রে
বিজেপির
ভোট
আগের
চেয়ে
বেড়েছে।
শেষ
লোকসভা
ভোটে
বিজেপি
প্রায়
১৮
শতাংশ
ভোট
পেয়েছে।
তা
২০০৯
সালে
পাওয়া
ভোটের
চেয়ে
১৩
শতাংশ
বেশি।
আবার
গত
২
বছরে
বিশেষ
করে
বিধানসভা
ভোটের
নিরিখে
ধরলে
গেরুয়া
শিবিরের
ভোট
এই
কেন্দ্রে
অনেকটা
বেড়েছে।
এই
অবস্থায়
এই
কেন্দ্রেও
বাম-বিজেপি-তৃণমূলের
ত্রিমুখী
লড়াই
হতে
চলেছে।
শেষ
পর্যন্ত
কোন
দল
শেষ
হাসি
হাসে
সেটাই
দেখার।
কোন কোন বিধানসভা
এই আসনটি বর্ধমান দক্ষিণ, বর্ধমান উত্তর, মন্তেশ্বর, ভাতার, গলসি, দুর্গাপুর পূর্ব ও দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা আসন নিয়ে তৈরি।
২০০৯ সালের নির্বাচন
২০০৯ সালে সিপিএমের সইদুল হক এখানে জয়লাভ করেন।
২০১৪ সালের নির্বাচন
২০১৪ সালে সইদুল হককে হারিয়ে জয় পান তৃণমূলের ডক্টর মমতাজ সংঘমিত্রা। তিনি সইদুল হককে ১ লক্ষ ৭ হাজার ৩৩১ ভোটে হারিয়ে দেন।
২০১৪তে কার ভোট কত
২০১৪ সালে তৃমমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিত্রা পেয়েছিলেন ৫,৫৪,৫২১ ভোট। সিপিএম-এর সইদুল হক পেয়েছিলেন ৪,৪৭,১৯০ ভোট। বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী পেয়েছিলেন ২,৩৭, ২০৫ ভোট।
২০১৯-এর প্রার্থী করা
এই আসন থেকে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী আগের বাবের বিজয়ী মমতাজ সংঘমিত্রা। বিজেপি প্রার্থী দার্জিলিং-এর বিদায়ী সাংসদ তথা ভূমিপুত্র এসএস আলুওয়ালিয়া। সিপিএম-এর তরফে প্রার্থী করা হয়েছে আভাস রায়চৌধুরীকে। কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী রণজিত মুখোপাধ্যায়।