মাধ্যমিকের প্রশ্ন-জালিয়াতিকাণ্ডে শাস্তির মুখে প্রধান শিক্ষক! চাপ বাড়ল সহকারীর এফআইআর-এ
প্রধান শিক্ষকের কীর্তিকলাপের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক। এবার তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন।
প্রধান শিক্ষকের কীর্তিকলাপের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক। এবার তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবিতে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন। জলপাইগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেন ওই স্কুলেরই ইংরেজির শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়। সেইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, প্রধানশিক্ষকের কু-কীর্তি সামনে আনার পর থেকেই তিনি নিরাপত্তায় ভুগছেন।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগের পাশাপাশি, সেই প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে ছাত্র-ছাত্রীদের নকল করতে বাধ্য করতেন প্রধান শিক্ষক। জলপাইগুড়ির একটি স্কুলের সেই কাণ্ডকারখানাই প্রকাশ করে দেন সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎবাবু। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অপসারিত হতে পারেন হরিদয়ালবাবু। এমনকী দোষ প্রমাণিত হলে কেড়ে নেওয়া হতে পারে শিক্ষারত্ন সম্মান।
[আরও পড়ুন: মায়ের মতো মমতা! শামি-কাণ্ডে অধিকারের লড়াইয়ে 'ভরসা' পেয়ে খুশি হাসিন]
এই প্রশ্ন-জালিয়াতিকাণ্ডে শুক্রবার পর্ষদের অফিসে তলব করা হয় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে। অভিযুক্ত প্রশান শিক্ষক যখন পর্ষদ কর্তাদের প্রশ্নবাণের মুখোমুখি, তখন ময়নাগুড়ি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করেন সহকারী শিক্ষক। এদিন হরিদয়ালবাবুর বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে অভিযোগকারী সহকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎবাবুও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আর্জি জানান।
পুলিশ জানিয়েছে, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগকারীর নিরাপত্তার ব্যাপারেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। অভিযোগকারী আরও জানিয়েছেন, একটা সময়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে নেমে পাশে পেয়েছিলেন অনেক সহকর্মীদের। এখন আর পাশে কেউ নেই। তাই নিজেকে বেশি করে নিরাপত্তাহীন মনে হচ্ছে।