বাবুলের শপথ-জট কাটাতে আসরে অধ্যক্ষ-পরিষদীয় মন্ত্রী, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক
বাবুলের শপথ-জট কাটাতে আসরে অধ্যক্ষ-পরিষদীয় মন্ত্রী, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈঠক
বাবুল সুপ্রিয় বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে জট অব্যাহত রয়েছে। সেই জট কাটাতে এবার আসরে নামলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার তাঁরা বিধানসভায় বৈঠকে বসেছেন। বিকল্প কোন পন্থা এই বৈঠক থেকে উঠে আসে, নাকি রাজ্যপালের নির্দেশমতোই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা-ই দেখার।
দু-সপ্তাহ অতিক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলরে টিকিকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এখনও তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। রাজ্যপাল অনুমতি দিলেও এমনই এক বিতর্ক খাঁড়া করেছেন যে, এখনও আটকে রয়েছে শপথ গ্রহণ। রাজ্যপাল পুনর্বিবেচনার আর্জিতে সাড়া দেননি। তাই বিকল্প পন্থা বের করতেই জরুরি বৈঠকে বসলেন পরিষদীয় মন্ত্রী ও বিধানসভা স্পিকার।
বাবুল সুপ্রিয় রাজ্যপালকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু বাবুলের দাবি সংবিধান পরিপন্থী বলে তিনি বিষয়টি এগিয়ে গিয়েছেন। এবং তাঁর সিদ্ধান্ত অটল থেকেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বাবুলের চিঠির পাল্টা জবাব দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, সংবিধান মোতাবেক তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত মতো ডেপুটি স্পিকারকে দিয়েই শপথবাক্য পাঠ করাতে হবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অর্জুনের! তড়িঘড়ি ফোন জেপি নাড্ডার
বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শনিবার বাবুল সুপ্রিয়র শপথ নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেছিলেন। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এড়িয়ে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করানোর ভার দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফল স্বরূপ নতুন করে তৈরি হয় জট। ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দেন, চিঠি পেলে তিনি রাজ্যপালের প্রতি সম্মান রেখেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করবেন।
রাজ্যপাল তাঁর শপথের অনুমতি প্রদানের পর ধন্যবাদ জানিয়েও দুঃখপ্রকাশ করেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, স্পিকারের কাছ থেকে তিনি শপথ নিতে পারছেন না, সে জন্য তিনি দুঃখিত। এরপর রবিবার রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন। তিনি লেখেন- বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র্র মানুষদের জন্য বলছি, যাঁরা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর গত কয়েকমাস ধরে বিধায়কহীন। আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, দয়া করে আপনার সিদ্ধান্ত বদলান এবং মহামান্য স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দিন। যাতে দ্রুত বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারি, তার ব্যবস্থা করুন।
রাজ্যপাল তাঁর চিঠির প্রত্যুত্তরে তিনি লিখেছেন ভারতের সংবিধান মোতাবেক আমার ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন না করেই আমি ডেপুটি স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তাঁর কাছ থেকেই ১৬১ নম্বর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয় শপথগ্রহণ করবেন। ধনখড় একপ্রকার বুঝিয়েই দেন তাঁর সিদ্ধান্তে তিনি অনড়। এরপর সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করে একটা সিদ্ধান্ত উপনীত হতে চান।