বিধানসভা নির্বাচন : মার্চের শেষেই রাজ্যে প্রচারে নামছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
কলকাতা, ১২ মার্চ : দলে যতই বড় বড় নেতা থাকুন, সারা ভারতে ভোট টানার এমন ক্যারিশ্মা যে নরেন্দ্র মোদী ছাড়া আর কারও নেই তা একবাক্যে মেনে নেন বিজেপি নেতারা। সেই প্রধানমন্ত্রীকেই ফের একবার ভোট বৈতরণী পার করতে কাজে লাগাতে মরিয়া বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেড।
পড়ুন : রাজ্য বিধানসভা ভোট ২০১৬
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বেশি আসন জিততে না পারলেও মৃদু মোদী হাওয়া চলেছিল এরাজ্যেও। আর তার সুবাদেই দার্জিলিং ও আসানসোলে একটি করে মোট ২টি লোকসভা আসনে জেতে এনডিএ।
সেই মোদী ম্যাজিকের হাত ধরে ফের এরাজ্যে বিধানসভা ভোটেও নামতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা ভালোই জানেন, সংগঠনের যা হাল তাতে এবার একটি আসনে জেতার বেশ কষ্টের হয়ে যাবে। এছাড়া সবকটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার লোক খুঁজে পাওয়াটাও নেতৃত্বের কাছে চ্য়ালেঞ্জের।
এমতাবস্থায় একমাত্র মুশকিল আসান হতে পারেন দেশের বিজেপি তথা এনডিএর প্রধান মুখ তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেজন্যই মোদীজিকে দিয়ে রাজ্যে যত বেশি সভা করানো যায়, সেটাই এখন লক্ষ্য দিলীপ ঘোষদের।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদীজিকে দিয়ে মোট তিনদফায় সাতটি জনসভা করানোর ভাবনা রয়েছে তাঁদের। তাঁরা চেয়েছিলেন অন্তত দশটি সভা করুন তিনি। তবে ব্যস্ততার কারণে তা সম্ভব নাও হতে পারে।
পাশাপাশি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গড়কড়ী, অরুণ জেটলি ও সিদ্ধার্থনাথ সিংরা দলে দলে ভাগ হয়ে নানা জেলায় ভোট প্রচারে নামবেন।
বাম-কংগ্রেস জোট যেখানে মোদী-মমতা সম্পর্ককে নিয়ে আক্রমণে নেমেছে, মোদীজি রাজ্যে এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করলে সেই অপবাদ ঘুঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মত রাজ বিজেপি নেতৃত্বের। এছাড়া বাম-কংগ্রেসের আঁতাতকেও ভোঁতা করবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছেন রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী মাসের ৪ তারিখ থেকে প্রথম দফার ভোট শুরু হওয়ায় এই মার্চেরই শেষে ২৬ তারিখে মোদীজি প্রথম জনসভা করবেন। সম্ভবত দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র খড়্গপুরে নির্বাচনী সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।