সিপিএমের দাবিতেই সিলমোহর মমতার, শিলিগুড়িতে প্রশাসক হচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্যই
বামেদের দাবি মেনেই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া হল পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম। বিদায়ী মেয়র সিপিএম অশোক ভট্টাচার্যই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক।
বামেদের দাবি মেনেই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া হল পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম। বিদায়ী মেয়র সিপিএম অশোক ভট্টাচার্য ও মেয়র পারিষদদের নিয়ে প্রশাসকমণ্ডলী গঠিত হল শিলিগুড়ি পুরসভায়। রাজ্য তাঁর দাবিকে মান্যতা দেওয়ায় শেষমেশ প্রশাসক হচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্য। তিনি এটা নৈতিক জয় বলে ব্যাখ্যা করেন।
অশোকবাবু জানান, শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশন গঠনের একটি রিভাইস অর্ডার পেয়েছি। তা বিগত পুর বোর্ডের মেয়র, ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদের সদস্যদের নিয়ে পুনর্গঠিত হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন নির্বাচিত কাউন্সিলরকে এই বোর্ড থেকে বাদ রাখা হয়েছে। আমরা এই দাবিই করে আসছিলাম।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি পুরসভায় বোর্ড অফ অ্যডমিনিস্ট্রেশনে শাসক বামফ্রন্টসহ বিরোধীদেরও পাঁচজনকে রাখে রাজ্য সরকার। এরপরই শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ব্যতিক্রমি সিদ্ধান্ত কোনওমতে গ্রহণ করা হবে না বলে জানান অশোক ভট্টাচার্য। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের নাম প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
অবশেষে সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে নতুন প্রশাসকমণ্ডলী তৈরি করে পাঠানো হয়। সেই প্রশাসকমণ্ডলীতে আছেন সপারিষদ মেয়রকে নিয়ে সাতজন। পূর্বের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বস্তবতা অনুভব করে সমস্ত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেছেন। তার জন্যে আমরা সন্তুষ্ট এবং মাননীয় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
এর পাশাপাশি তিনি জানান, আমরা বিশ্বাস করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পুরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার। কোন নির্বাচিত প্রতিনিধিই পাঁচ বছরের অধিক ক্ষমতায় থাকতে পারে না। কিন্তু বর্তমান করোনা ভাইরাস মহামারী এবং লক ডাউনজনিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব না। এই মুহূর্তে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা। তাই প্রশাসক হিসেবহে শিলিগুড়ি পুরসভা চালানোর দায়িত্ব গ্রহণ করছি।