স্বপ্ন অধরাই থাকবে তৃণমূলের! দল ভাঙাতে আসার আগে ঘর সামলান, বার্তা অশোকের
তৃণমূলকে পরোয়া করেন না তিনি। দল ভাঙাতে এলে নিজেরেই চুরমার হয়ে যাবে। সাফ জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র প্রাক্তনমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।
তৃণমূলকে পরোয়া করেন না তিনি। দল ভাঙাতে এলে নিজেরেই চুরমার হয়ে যাবে। সাফ জানিয়ে দিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র প্রাক্তনমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে তৃণমূলের। এখানে দল ভাঙাতে ঢিল ছুড়লে, পাটকেল খেয়ে ঘরে ফিরবেন তৃণমূল নেতারা।
শনিবার এক প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে অশোকবাবু পরামর্শ দেন, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের দিকে হাত বাড়াবেন না। দল ভাঙাতে আসার আগে ঘর সামলান। না হলে উল্টো স্রোত বইতে পারে। দল ভাঙাতে এলে দেখবেন, ঘর ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। সেটা কি ঠিক হবে!
তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আমাদের দলের দিকে হাত বাড়ালে উপযুক্ত সম্মানের বিনিময়ে তৃণমূলের কেউ কেউ যে বাম-শিবিরের দিকেও ঝুঁকবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে অনাস্থা আনার মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত আইনেই আছে, আড়াই বছর পর অনাস্থা আনা যায়। বামফ্রন্ট পরিচালিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ আড়াই বছর পার করতে চলেছে। তাই রাজ্যের ২০টি জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেও ক্ষমতা বদলের আবহ তৈরি হয়েছে।
বামেদের অভিযোগ, তৃণমূল দল ভাঙিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব আনার খেলা শুরু করেছে। সম্প্রতি সিপিএমের পরিষদ সদস্য ছোটন কিস্কুকে দলবদল করিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে অনাস্থা আনার জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলকে সাবধান করে দিয়েছেন সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার।
তিনি বলেন, এখন রাজ্যে তৃণমূলের একটা নতুন শাখা তৈরি হয়েছে। সেটা হল পুলিশ তৃণমূল। তাঁদের কাজই হল বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে মামলা করা। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের ধমক দিয়ে শাসক শিবিরের দিকে আনা। এবার তারই পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, অনেক তৃণমূল নেতা বামেদের দিকে ঢলতে চাইছে। এবার তাই পুলিশ-তৃণমূলদের দিয়ে ঘর সামলান। তা না হলে সমূহ বিপদ।