দিলীপ-মুকুলে ভরসা নেই, ‘মিশন বাংলা’র সফল রূপায়ণে রাজ্যে আসছেন মোদীর দূত
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সমস্ত রাজ্যই বিজেপির দখলে এসেছে। এবার টার্গেট বাংলা। লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে যখন এগোচ্ছে বিজেপি, তখন মোদী-শাহদের ভরসা নেই দিলীপ-মুকুলে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রায় সমস্ত রাজ্যই বিজেপির দখলে এসেছে। এবার টার্গেট বাংলা। লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে যখন এগোচ্ছে বিজেপি, তখন মোদী-শাহদের ভরসা নেই দিলীপ-মুকুলে। তাই দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়দের পরিবর্তনে অন্য কাণ্ডারির উপরই ভরসা রাখছেন তাঁরা। বাংলা-জয়ের লক্ষ্য এবার নরেন্দ্র মোদী পাঠাচ্ছেন তাঁর দূতকে।
সেই লক্ষ্যেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে 'আনকোরা' আশিস সরকারকে আনতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অনেকেই ভেবেছিলেন দিলীপের মেয়াদ শেষে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন মুকুল রায়। কিন্তু এবার রাজ্য বিজেপির উপর খোদ মোদজীর নজর পড়েছে। তিনি এই পদে বসাতে চলেছেন খাস তাঁর লোককে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আশিস সরকার সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ। বাংলার রাজনীতিতে তিনি নতুন হলেও, তাঁর বড় নির্বাচন সামলানোর অভিজ্ঞতা প্রচুর। তাঁর সেই অভিজ্ঞতাকে এবার বাংলার বুকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর মোদী-শাহ জুটি।
রাজ্য বিজেপির অন্দরে এখন ঘোর অমানিশা। তিন-চারটি লবি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সভাপতির বদলের আবহ তৈরি হতেই। এই অবস্থায় গুরুত্ব বাড়াতে সবাই সচেষ্ট। মোদী-অমিত শাহরা চাইছেন এমন একজনকে, যিনি বাংলার সব লবিকে এক করে চলতে সক্ষম হবেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে তাই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে প্রবাসী বাঙালি ডা. আশিস সরকার তাঁদের পয়লা নম্বর পছন্দ।
তারপর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডা. আশিস সরকার এর আগে ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন সামলেছেন। তারপর রাজস্থান থেকে শুরু করে উত্তরাখণ্ড, এমনকী গুজরাটেও তাঁকে ব্যবহার করেছেন মোদী-শাহরা। এমন একজন নেতাকে এনে বাংলায় মমতার পালের হাওয়া কাড়তে চাইছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তারপর আশিস সরকার এমন একজন ব্যক্তি, যিনি বাঙালি আবার সঙ্ঘঘনিষ্ঠ। বাংলা নেতৃত্বের সঙ্গে সে অর্থে যোগ না থাকায় কোনও লবিরই নন। এমন একজনকে মাথায় বসালে সমন্বয় সাধনের কাজ সহজ হবে বলেই মনে করছে নেতৃত্ব। এইসব কারণেই আশিস সরকারকে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে আনার ভাবনা।