মমতাকে পাল্টা আক্রামণ করে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মিম প্রধানের
ওয়েইসিকে লাগাতার আক্রমণ, মমতাকে পাল্টা আক্রামণ করে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মিম প্রধানের
বিহারে ভাল ফলের পরে পর ওয়েইসির নজরে বাংলা। কিন্তু বাংলায় বারবারই ওয়েইসিকে বিজেপির বি টিম হিসেবে প্রচার করে চলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক প্রচার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হায়দরাবাদের বহিরাহত বলে নিশানা করেছেন ওয়েইসিকে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুসলিম ভোট ভাগ করে নিতে চাইছে মিম এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। এবার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন ওয়েইসি। তিনি বলেছেন, যিনি মুসলিমদের কথা ভাবেন বলে দাবি করেছেন তিনি কেন গুজরাত দাঙ্গার সময় একটি বারও মুখ খোলেননি।
বঙ্গের ভোটে নজর ওয়েইসির
এইবার প্রথম বাংলার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। আগে থেকেই তাই ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ফেলেছেন তিনি। আব্বাসরও দাবি করে বসেছে ওয়েইসি যেখানে প্রার্থী দেবে সেখানে তাঁরা প্রার্থী দেবেন না। ওয়েইসির প্রার্থীকেই সমর্থন করবেন। এদিকে আবার বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আব্বাসের দল আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ওয়েইসি কিন্তু এই জোটে সামিল হননি। তাঁরা আলাদা ভাবেই কয়েকটি মাত্র কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছেন। বিহার ভোটের পর বাংলার বিধানসভা ভোটে অনেটা ভাগ্য পরীক্ষা করতেই ময়দানে নেমেছেন মিম প্রধান।
ওয়েইসিকে নিশানা মমতার
আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল বাংলায় প্রার্থী দেবে জানার পর েথকেই মুসলিম ভোট ভাগ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মমতা। তারপরে আবার ফুরফুরা শরিফের পীরজাদার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ওয়েইসি। তাতে আরও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন িতনি। বেশ কয়েকবার ফিরহাদ হাকিমকে এই কারণেই ফুরফুরা শরিফে পাঠিেয়ছেন তিনি। আব্বাস বিরুদ্ধাচারণ করলেই ফুরফুরা শরিফের আরেক পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি কিন্তু এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করে চলেছেন। গতকাল কোচবিহারের সভা থেকে ওয়েইসির নাম না করে নিশানা করেছেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেছেন হায়দরাবাদ থেকে যে দলটি এসেছে তাঁর কথায় বিশ্বাস করবেন না। মুসলিম ভাইবোনেদের বলছি, ফুরফুরা শরিফের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির বি-টিম ওরা। বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে বাংলায় এসেছে মুসলিম ভোট ভাগ করতে।
মমতাকে নিশানা ওয়েইসির
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ করেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় মুসলিমদের জন্য কিছু করেননি। মিসলিমদের জন্য কোনও কথা ভাবেননি। তাঁর পার্টি মুসলিমদের কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার সভায় গিয়ে যে কলাম পরেন সেটা কেবল মাত্রা ভাঁওতা দেওয়ার জন্য। মোদী আর মমতা মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। ধর্মের নামে রাজনীতি মুসলিমরা চায় না। তাঁরা চায় উন্নয়ন।
ওয়েইসির বিস্ফারক দাবি
মমতাকে নিশানা করতে গিয়ে ওসেইসি বিস্ফেরক দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যিনি এখন মুসলিম ভোট পাওয়ার যত এতো কথা বলছেন ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় মুখে কুলুপ এঁেটছিলেন। তারবর্তে তাঁকে মন্ত্রীত্ব দিয়েছিল তৎকালীন বিজেপি সরকার। ২০০৪ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। তিনিই প্রথম বাংলায় বিজেপির পথ প্রশস্ত করে িদয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেেছন ওয়েইসি। আর এখন তাঁকে বিজেপির বি টিম বলে আক্রমণ করা হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল বাবুল-রুদ্রনীলের গান! সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে কমিশনে তৃণমূল