এবার বাংলায় পা! রাজ্যে কোথায় কত আসনে প্রার্থী, প্রাথমিকভাবে তালিকা তৈরি আসাদউদ্দিনের মিমের
বিহারের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিনের (asaduddin owaisi) মিম (aimim)। বিহারে সংখ্যালঘু অধ্যুষিক সীমাঞ্চলে ৫ আসন জয়ের পরেই দলের প্রধান আসাদউদ্দিন জানিয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিমবঙ
বিহারের সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিনের (asaduddin owaisi) মিম (aimim)। বিহারে সংখ্যালঘু অধ্যুষিক সীমাঞ্চলে ৫ আসন জয়ের পরেই দলের প্রধান আসাদউদ্দিন জানিয়েছেন আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে (west bengal) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাঁর দল। টার্গেট হবে রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আসনগুলিই।
গত তিনবছর ধরে সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা
রাজ্যে মিম-এর সূত্রের খবর, গত তিন বছর ধরে তারা সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের টার্গেটে রয়েছে মুসলিম যুবকরা। তবে তাদের দাবি অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অনেক আসনেই ক্যাডার ভিত্তিক দলগঠনে সক্ষম হয়েছে তারা।
অন্তত ১৫ জেলায় প্রভাব বলে দাবি
মিমের
দাবি,
পশ্চিমবঙ্গে
তারা
অন্তত
১৫
টি
জেলায়
সংগঠন
বিস্তার
করেছেন।
তাদের
অভিযোগ,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নেতৃত্বাধীন
তৃণমূল
সরকার
রাজ্যের
সংখ্যালঘুদের
জন্য
কিছুই
করেনি।
সংখ্যালঘুরা
দেশের
মধ্যে
সব
থেকে
গরিব।
তাঁদেরকে
রাজনৈতিক
দলগুলি
কেবলমাত্র
ভোটব্যাঙ্ক
হিসেবেই
ব্যবহার
করছে
বলে
অভিযোগ
মিমের।
মিম
সূত্রে
দাবি,
উত্তর
দিনাজপুর,
মালদহ,
মুর্শিদাবাদ
ছাড়াও
ভারত
বাংলাদেশ
সীমান্তবর্তী
উত্তর
ও
দক্ষিণ
২৪
পরগনায়
তাদের
শক্তি
রয়েছে।
এছাড়াও
উত্তরবঙ্গের
সীমান্তবর্তী
এলাকাতেও
তাদের
প্রভাব
রয়েছে।
সংখ্যালঘু
অধ্যুষিত
এলাকা
ছাড়াও
এই
এলাকাগুলি
অর্থনৈতিকভাবে
অনগ্রসর
বলেও
দাবি
করা
হয়েছে
মিমের
তরফে।
অন্তত ৭০ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
রাজ্যের ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ১২০ টি আসনে কোন প্রার্থী জিতবেন, তার নির্ধারণ করে থাকেন সংখ্যালঘুরা। এর মধ্যে থেকে অন্তত ৭০ টি আসনে প্রার্থী দিতে চায় মিম। রাজ্যের ১৫ টি জেলায় এই আসনগুলি রয়েছে। এইসব জেলায় সংখ্যালঘুদের থেকে তারা ভাল সমর্থন পাবেন বলে দাবি করেছে মিম।
সেন্সাস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উত্তর দিনাজপুর, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে যথাক্রমে ৫০%, ৫৯% এবং ৬৬% সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছে। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও গত সাত থেকে আট বছরে সংখ্যালঘু ভোটার বেড়েছে। ২০১১ সালে যেখানে এই দুই জেলায় সংখ্যালঘুর সংখ্যা ছিল ৩০%-এর মতো, গত কয়েকবছরে তা বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৪০%-এর মতো।
সংখ্যালঘুরা বিশ্বাস করছে মিমকে
বিহারের নির্বাচনের পর মিম বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, দেশের সংখ্যালঘুদের একাংশ তাদের বিশ্বাস করছে। কেননা রাজ্যে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতি দেখছেন। এবার তারা এবার তারা মুসলিমদের দুধ দেওয়া গরু বলে মন্তব্য করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই শিক্ষা দিতে চায়।
দলের তরফে সার্ভের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মিমের তরফে। ভাল ফিডব্যাকও পাওয়া যাচ্ছে। তবে শুধু মুসলিমদের সঙ্গে নিচ্ছেন না, দলিত এবং ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুদেরও সঙ্গে নিতে চান। দেশ এবং মানুষের অধিকারের জন্য।
অন্যদলগুলিকে তাদের সঙ্গে যেতে আহ্বান
ইতিমধ্যে তৃণমূল এবং কংগ্রেসল মিমকে ভোট কাটুয়া বলে আক্রমণ করেছে। যাকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয় মিম। তার বলছে, দেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মতো তাদেরও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। যদি কারও মনে হয় যে মিম ভোট কাটছে, তাহলে সেই দলগুলি যেন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়, সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন মিমের রাজ্য নেতা মিমের রাজ্য নেতা ওয়াসিম ওয়াকার।