তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াই রুখতে আসরে অরূপ, বিক্ষুব্ধ ১২ কাউন্সিলরকে ডাক বৈঠকে
তৃণমূল বনাম তৃণমূল লড়াই রুখতে আসরে অরূপ, বিক্ষুব্ধ ১২ কাউন্সিলরকে ডাক বৈঠকে
রাজ্যের সিংহভাগ পুরসভা জিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। ঘোরা কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। বিজেপি তথা বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করে জিতলেও চেয়ারম্যান পদের লড়াইয়ে দলের বিক্ষুব্ধদের কাছেই গোহারা হেরেছে তৃণমূলের প্রস্তাবিত প্রার্থীরা। এই সমস্যা দূর করতে এবার অরূপ বিশ্বাস বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন। তিনি আশাবাদী দলের এই সমস্যা মিটিয়ে নতুন দিশা দেখাতে পারবেন।
পূর্ব
বর্ধমানের
কালনা
পুরসভায়
তৃণমূলের
প্রস্তাবিত
প্রার্থী
গোহারা
হারেন
দলেরই
বিক্ষুব্ধ
প্রার্থীর
কাছে।
পরিস্থিতি
এমন
পর্যায়ে
পৌঁছয়
যে
বন্ধ
রাখতে
হয়
বোর্ড
গঠন।
এই
অবস্থায়
কালনা
পুরসভায়
জয়ী
১৭
প্রার্থীকে
তলব
করল
তৃণমূল।
তৃণমূলের
মন্ত্রী
অরূপ
বিশ্বাস
এবার
তাঁদের
সঙ্গে
বৈঠকে
বসছেন।
এই
বৈঠকে
থাকছেন
পূর্ব
বর্ধমানের
জেলা
নেতৃত্বও।
মঙ্গলবার কালনা পুরসভার ১৭ জন জয়ী তৃণমূল প্রার্থীকে কলকাতায় তলব করা হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব তাদের ডেকে বৈঠকে বসতে চাইছে। এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে বহিষ্কৃত তপন পোড়েলকেও। তৃণমূল সূত্রে জানান গিয়েছে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও রাজ্য নেতৃত্ব।
রাজ্য নেতৃত্বের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। অরূপ বিশ্বাস ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে বসবেন। তাঁদের বক্তব্য শুনবেন। শুনবেন ১২ জন বিক্ষুব্ধদের কথাও। কেন তারা দলের ঘোষিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে মানলেন না, তা জানতে চাওয়া হবে। তৃণমূলের তরফে বার্তা দেওয়া হবে, মানতে হবে দলের সিদ্ধান্ত।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান দলের তরফ থেকে আগে থেকেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণের পর বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৬ মার্চ। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় বাধে গোল। তৃণমূলের নির্ধারিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদর্শন করে সিংহভাগ কাউন্সিলর সরে দাঁড়ান। তাঁরা দলের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যানকে না মেনে ওই পদে তপন পোড়েলকে সমর্থন করে বসেন।
তৃণমূলের তরফে কালনা পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান করা হয় আনন্দ দত্তকে। আর ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় তপন পোড়েলকে। কিন্তু কাউন্সিলরা শপথ গ্রহণের ঠিক পরেই বেঁকে বসেন। দলের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের পরিবর্তে তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান চেয়ে বসেন তাঁরা। তপন পোড়েলের সমর্থনেই বেশিরভাগ কাউন্সিলর আওয়াজ তোলেন।
ভোটাভুটি হলে দেখা যায়, দলের ১২ জন কাউন্সিলর তপন পোড়েলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন। আর তৃণমূল অফিসিয়াল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনন্দ দত্ত পেয়েছেন মাত্র চারটি ভোট। তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান করার দাবিতে তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর সরব হন। দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানকে নিয়ে আপত্তি জানান তাঁরা। ওই চেয়ারম্যানকে মানবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এরপর তপন পোড়েলকে বহিষ্কার করা হয়। এদিন বৈঠকে ডাকা হয়েছে বহিষ্কৃত তপন পোড়েলকে।