ইন্দ্রনীলকে নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য 'কুরুচিকর'! চরম হুঁশিয়ারি সঙ্গীত মহলের
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) তৃণমূলের (trinamool congress) যাঁদেরকে নিশানা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)। তারপ
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) তৃণমূলের (trinamool congress) যাঁদেরকে নিশানা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথমে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মন্ত্রিসভারই অপর সদস্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনীল সেনকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছেন শিল্পীরা।
সঙ্গীত মেলা থেকে কাটমানি
এবার শিল্পী তথা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, শিল্পীদের ওই অনুষ্ঠানে সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে কাটমানি নেন তিনি। দিন তিনেক আগে চন্দননগরের সার্কাস মাঠের সভায় এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অনেক গায়ক গায়িকা তাঁকে এই অভিযোগ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
যখন যে ক্ষমতায় তাঁদের সঙ্গেই ইন্দ্রনীল
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, যখন যে ক্ষমতায় থাকে তাঁদের সঙ্গেই থাকেন ইন্দ্রনীল সেন। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ইন্দ্রনীল সেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পিছনে ঘুরেছেন। আর পরিস্থিতি অনুমান করতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
অভিযোগে বিরুদ্ধে সোচ্চার শিল্পীরা
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন শিল্পীদের একাংশ। তাঁরা দাবি করেছেন, কোনও দিনই কাটমানি দিয়ে তাঁরা অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। তাঁদের কাছে এমন কোনও প্রস্তাবও আসেনি বলে দাবি করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পীরা বলেছেন, বিজেপি নেতার অভিযোগ শুধু মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে অপমান নয়, সমগ্র সঙ্গীত জগতের অপমান।
প্রমাণ দিন, নয়তো ক্ষমা চান
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে সঙ্গীত শিল্পী রূপঙ্ক বাগচি অভিযোগ করেছেন, সঙ্গীত মেলায় যতবার তিনি যোগ দিয়েছেন, তাঁকে কোনও কাটমানি দিতে হয়নি। আর ইন্দ্রনীল সেন তাঁর সিনিয়ার। ফলে ইন্দ্রনীল সেনের কাছ থেকে তিনি অনেক পরামর্শ পেয়েছেন। আর তাঁর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যদি কেউ তাঁকে তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন, তাহলে তাঁর কিছুই করার নেই। কেননা তিনি (রূপঙ্ক) নিজেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেই মনে করেন। মনোময় ভট্টাচার্য নিজেকে অরাজনৈতিক হিসেবে দাবি করে বলেছেন, সঙ্গীত মেলায় সবসময় তিনি উপযুক্ত পারিশ্রমিক পেয়েছেন। মন্ত্রীর সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য ভুল বলেও দাবি করেছেন তিনি। ইমন চক্রবর্তীও দাবি করেছেন, সরকার বদলের পরেও উদ্যোক্তাদের ব্যবহারে কোনও পরিবর্তন আসেনি। সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাঘব চট্টোপাধ্যায় সবাই শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কেউ কেউ বলেছেন, টাকা তো সরাসরি পাঠানো হয় অ্যাকাউন্টে। ফলে সেখানে কাটমানির সুযোগ নেই। শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য কুরুচিকর বলে দাবি করে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে প্রমাণ দেওয়ার দাবি করেছেন শিল্পীরা। না হলে ক্ষমা চাওয়ার দবি করে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিল্পীরা।