পাকিস্তানের পর এবার টার্গেট চিন সীমান্ত, বর্ধমানের পানাগড়ে আরও বাড়ানো হচ্ছে সেনার বহর
শুধু পাকিস্তান সীমান্ত নয়, চিন সীমান্তেও এবার আরও কড়া নজরদারি ও সেনার দাপাদাপি বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, অভিনন্দনের মুক্তি হয়ে গিয়েছে। এবার অন্য অ্যাকশন হবে। সেইমতো শুধু পাকিস্তান সীমান্ত নয়, চিন সীমান্তেও এবার আরও কড়া নজরদারি ও সেনার দাপাদাপি বাড়বে। সীমান্তকে আরও মজবুত করা হবে। আর সেই পদক্ষেপ ইতিমধ্যে চোখে পড়তে শুরু করেছে। বর্ধমানের পানাগড়ে ভারত-পাকিস্তান টেনশনের মধ্যে সেনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
এবার দেখা যাচ্ছে ভারতীয় সেনা পানাগড়ের সদর দফতরে লোক বাড়াতে চলেছে। এখান থেকেই চিন সীমান্ত অনেকটা কাছে দেশের অন্য জায়গাগুলির তুলনায়। ৪০৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-চিন সীমান্তকে বেশি গুরুত্ব দিতে ঝাড়খণ্ড থেকে সেনাদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
এই সেনার গোষ্ঠীকে বলা হয় ব্রহ্মাস্ত্র সৈন্য। চিন বিষয়ে এরা পারদর্শী। সেনার পূর্ব কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ নভরানে দুদিন আগে বর্ধমানের পানাগড়ের সেনা ঘাঁটি ঘুরে গিয়েছেন। কী ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখেছেন। আপৎকালীন সময়ে তৎপরতা বজায় রাখতে তিনি পানাগড়ের সেনা আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। সব ধরনের অবস্থার জন্য তৈরি থাকতে বলেছেন।
মনে করা হচ্ছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির কারণেই পানাগড়ে সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিন সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়াতেই পানাগড়ে লোক বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা।
পূর্ব সীমান্তে যেভাবে বারবার চিনের সঙ্গে ভারতের বিরোধ বাঁধছে তাতে আগামিদিনে এই অংশেই বেশি গোলযোগ বাঁধতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই আগে থেকে সীমান্তে নিজেদের অবস্থায় ভারত মজবুত করতে চাইছে।