মোর্চার জুলুমবাজি দমনে কড়া সেনা-পুলিশ, ফের রণক্ষেত্র পাহাড়
রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ পাহাড় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ মেনেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে উঠতেই যুদ্ধের মেজাজ সিংমারিতে।
পাহাড়ে মোর্চার জুলুমবাজি চলছেই। সেইসঙ্গে প্রতিদিনই নিয়ম করে পুড়ছে সরকারি অফিস, গাড়ি। শনিবার আবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিংয়ের সিংমারি। পুলিশ সক্রিয় হতেই ফের মোর্চা সমর্থকরা তাণ্ডব চালাল। যুবমোর্চার গাড়ি থামিয়ে নজরদারি শুরু করতেই উড়ে এল পাথর। মোর্চার পাথর বৃষ্টিতে জখম হলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এরপর মোর্চা কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও সেনা অভিযান চালানো হয়।
এদিন মোর্চার তাণ্ডব শুরুর পরই সিংমারির দখল নিয়ে নেয় সেনা ও পুলিশ। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ঘিরে ফেলা হয় পুরো এলাকা। ফের আশঙ্কার কালো মেঘ জমতে শুরু করে সিংমারিতে। এদিনই রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ পাহাড় নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। সেই নির্দেশ মেনেই পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতদিন পুলিশ সহনশীলতা দেখিয়েছে। তবু মোর্চা নমনীয় হয়নি। তাই আবারও পুলিশ প্রতিরোধের রাস্তায় ফিরল।
শুক্রবার রাতেও কালিম্পংয়ের নিউ সার্কিট হাউসে আগুন ধরিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। কার্শিয়াংয়ে সেরিকালচার অফিসেও আগুন লাগানো হয়। পেট্রোল বোমা ছুড়ে মোর্চা সমর্থকরা পাহাড় জ্বালিয়ে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। শনিবার সকালে সেন্ট মেরি দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আগুন লাগানো হয়। পুড়ে যায় সমস্ত সরকারি নথি। এই ঘটনাতেও অভিযোগের তির গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দিকে।
উল্লেখ্য, পৃথক গোর্থাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন তীব্র রূপ নেয় গত ৯ জুন থেকে। ১২ জুন থেকে পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধ ডাকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই থেকেই পাহাড় জ্বলছে। সেই উত্তার শত চেষ্টাতেও কমেনি। মোর্চা হিংসার পথ থেকে সরে আলোচনার টেবিলে আসতে রাজি হয়নি। এখনও তাঁরা পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই অনড় থেকেছে। পায়ের তলার মাটি সরতে থাকলেও বনধের সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরতে রাজি হয়নি মোর্চা নেতৃত্ব।