সেনা নামিয়ে বন্যাবিধ্বস্ত ব্রিজ মেরামত, কলকাতা-এনজেপি যোগাযোগে মরিয়া রেল
কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেরও রেল যোগাযোগ সপ্তাহকাল ব্যাপী বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। এখন সেনা নামিয়ে তড়িঘড়ি তা স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
এখনও বানের জলে ভাসছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিশেষ করে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। কলকাতার সঙ্গে নিউ জলপাইগুড়ির রেল যোগাযোগ তাই এখনও শুরু করা যায়নি। দিনরাত এক করেও সুধানি নদীর উপর ব্রিজের মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। রেল যোগাযোগ সত্ত্বর স্বাভাবিক করতে বুধবার তাই সেনা নামানো হল।
কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেরও রেল যোগাযোগ সপ্তাহকাল ব্যাপী বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। বন্যার জলের তোড়ে সুধানি নদীর উপর আজরাইল রেলব্রিজ ভেসে গিয়েছিল। সেই রেলব্রিজ গড়ার কাজ এবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ করতে সেনা নামানো হয়েছে। রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের কর্মী ও সেনা জওয়ানরা যৌথভাবে কাজ চালাচ্ছে এই ব্রিজের।
এই রেলব্রিজ ভেসে যাওয়ায় কলকাতা ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। বাতিল করে দেওয়া হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু ট্রেনও। রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। শেষমেশ মালদহ পর্যন্ত ট্রেন চালিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছনোয় বন্দোবস্ত করা হয়। চালানো হয় বাসও।
উত্তরবঙ্গে কিছু লাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হলেও কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নই রয়েছে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের। এই রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার মূল কারণ ওই সুধানি নদীর ব্রিজ। রেল লাইন পাতার কাজ এগিয়ে গেলেও জলের তোড়ে ধুয়ে যাওয়া স্ক্রুপম্যান ব্রিজ তৈরি কাজ সম্পূর্ণ না হলে রেল যোগাযোগ শুরু করা যাবে না। সেই কাজই করছে সেনা।
বন্যার জলের তোড়ে রেল লাইনের ব্রিজের নিচে প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ এলাকার মাটি ভেঙে যায়। ফলে ব্রিজের রেল লাইন ঝুলে পড়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ ট্রেন চলাচল। কাটিহার ডিভিশনের এই রেল লাইন ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে তিন শিফটে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছে।
বুধবার থেকে সেনা নামিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তবে এই কাজ শেষ করে কতদিনের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে, তা এখনও বলতে পারছে না রেল। রেলের ডিআরএম শুধু একটা কথাই জোর দিয়ে বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করা যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।