চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অর্জুনের! তড়িঘড়ি ফোন জেপি নাড্ডার
হঠাত করেই বেসুরো অর্জুন সিং! লাগাতার কেন্দ্রকে তোপ। এমনকি তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে। এমনকি দিল্লি সফরে বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ
হঠাত করেই বেসুরো অর্জুন সিং! লাগাতার কেন্দ্রকে তোপ। এমনকি তৃণমূলের মঞ্চে গিয়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে। এমনকি দিল্লি সফরে বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকও করেন। কিন্তু এরপরেও থামানো যাচ্ছে না অর্জুনকে!
দিল্লি থেকে ফিরেই ললিপপ মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এমনকি তা দিয়ে তাঁকে থামানো যাবে না বলেও মন্তব্য ছিল সাংসদের। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়।
রাজনৈতিকমহলে জল্পনা, শাসকদল তৃণমূলের যাওয়ার জন্যেই অর্জুনের এমন মন্তব্য। আর এই বিতর্কের মধ্যেই পাটের দাম নিয়ে ফের সুর চড়ালেন অর্জুন সিং। শুধু তাই নয়, বেঁধে দিলেন চরম সময়সীমাও। তবে রাজনৈতিক জল্পনা'র মধ্যেই আজ সোমবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ। প্রায় দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বৈঠক। আর সেই বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টও করেছেন বিজেপি নেতা।
আর তা পোস্ট করে সেখানে লিখেছেন, ''আজ বস্ত্র মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হলো। উনি আশ্বাস দিয়েছেন যে পাট শিল্পের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। আগামী 9 মে বস্ত্র মন্ত্রক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও ইজমার মধ্যে বৈঠক হবে''। অর্থাৎ সেদিন রাজ্য সরকার, বস্ত্রমন্ত্রক, পাটশিল্পের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকে।
তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলে দাবি করলেও নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছেন অর্জুন সিং। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, 'চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে। ললিপপের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না'। তবে এখন ৯ তারিখের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা!
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, আজ সোমবার বারাকপুরের বিজেপি সাংসদকে ফোন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা হয় বলে খবর। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বস্ত্রসচিবের সঙ্গে তাঁর কি কি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা নিয়েও বিজেপি সাংসদের কাছে নাড্ডা খোঁজখবর নেন বলে খবর।
তবে অর্জুনের তৃণমূল যোগ নিয়ে কোনও কথাবার্তা হয়েছে কিনা তা সে বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে অর্জুন সিংকে যে ধরে রাখতে মরিয়া নয়াদিল্লি তা একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিকমহলের কারবারিরা। তবে তৃণমূলে যোগ এদিন কিছু মন্তব্য করতে চাননি অর্জুন সিং। তবে গত কয়েকদিনে অর্জুনের শারীরিক ভঙ্গী তৃণমূল তাঁর যোগের বিষয়ে জল্পনাকে বাড়িয়ে তুলছে।
এমনকি অর্জুন সিং তৃণমূলে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন দোলা সেনও। আগামিদিনে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।