মমতার আশঙ্কার পরের দিনই অর্জুন সিংয়ের যোগ বিজেপিতে, আর কারা লাইনে
অর্জুন সিং এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।
তিন দশক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছেন। মমতা যখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন, তখন থেকে সম্পর্ক। বহু আন্দোলন একসঙ্গে করেছেন। এমনকী বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাতেও দলনেত্রীর কথায় এগিয়ে গিয়ে তাণ্ডব চালাতে পিছপা হননি ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। তাঁর চেয়ার ছুঁড়ে ফেলার ছবি দিয়ে সেইসময়ে সংবাদপত্রের হেডলাইন হয়েছে। এহেন অর্জুন সিং এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।
আর নেপথ্যে সেই মুকুল রায়। দলবদলের পর একে একে ছিপ দিয়ে গেঁথে মাছ তোলার মতো করে অন্য দল থেকে নিয়ে এসে বিজেপিতে যোগ দেওয়াচ্ছেন বিরোধী নেতাদের। অনুপম হাজরাকে দলে যোগ দেওয়ানোর একদিন পরই তুলে নিলেন অর্জুন সিংকে।
চারবারের বিধায়ক অর্জুন দল বদলের কারণ নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। মূল অভিযোগ, পুরনো কর্মীদের সেভাবে পাত্তা দিচ্ছেন না দলনেত্রী। ভুলে গিয়েছেন, বঞ্চনা করছেন। আর তাই বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি।
ঘটনা হল, বুধবারই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন যে, দলের কয়েকজন নেতা আসনের লোভে দলবদলের চেষ্টা করছে। এই নেতারা চলে গেলে তিনি বেঁচে যান বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। আর সেই আশঙ্কার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অর্জুন চলে এলেন বিজেপিতে। দিল্লিতে গেরুয় কার্যালয়ে গিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে দলে যোগ দিলেন।
[আরও পড়ুন:মমতার আশঙ্কার পরের দিনই অর্জুন সিংয়ের যোগ বিজেপিতে, আর কারা লাইনে ]
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তৃণমূল আন্দাজ করতে পেরেছে, কারা কারা দল বদলের চেষ্টা করছে বা করতে চলেছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই স্পষ্ট ছিল, এই সমস্ত বিষয়ে তাঁর নজর রয়েছে। তবে মানুষের ওপরে ভরসা করেই ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: 'অর্জুন'-এর বিজেপিতে যোগ! জানালেন দলবদলের কারণ, বললেন ট্রিপল এম-এর নতুন অর্থ]