তৃণমূলে মুকুল কি আদৌ মাথাব্যথা! নোয়াপাড়ায় প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ মমতার সেনাপতির
এখনও প্রার্থীই খুঁজে পেল না বিজেপি। এই অবসরে মুকুল রায়কেই টার্গেট করে বসলেন নোয়াপাড়া-যুদ্ধে মমতার সেনাপতি।
ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর নয় নয় করে কেটে গিয়েছে সাত-সাতটা দিন। এখনও প্রার্থীই খুঁজে পেল না বিজেপি। এই অবসরে মুকুল রায়কেই টার্গেট করে বসলেন নোয়াপাড়া-যুদ্ধে মমতার সেনাপতি। আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতেই ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্জুন সিং চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন, 'সুযোগ যখন আছে মুকুলবাবু, কেন হাতছাড়া করছেন। নোয়াপাড়া প্রার্থী হয়েই দেখিয়ে দিন, আপনি আমাদের কতটা মাথাব্যথার কারণ।'
[আরও পড়ুন:'আমি তোমাদেরই লোক...', পা ছোঁয়ার আকুতিতে রাঙামাটির দেশে 'শেষ পরিচয়' মমতার]
উলুবেড়িয়া লোকসভার পাশাপাশি ২৯ জানুয়ারি নোয়াপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রেও নির্বাচন। এখানেও তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু এখনও প্রার্থীর নাম জানায়নি কংগ্রেস ও বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সুনীল সিং আর বামফ্রন্টের প্রার্থী গার্গী রায়চৌধুরী। কিন্তু এই কেন্দ্রটি যাঁদের দখলে ছিল, সেই কংগ্রেস এখনও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে হাইকম্যান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায়। তবে কংগ্রেস সূত্রে আপাত স্পষ্ট কাউন্সিলর গৌতম বসু প্রার্থী হতে চলেছেন।
কিন্তু বিজেপি দুই কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম জানায়নি এখনও। এদিকে হাতে রয়েছে সাকুল্যে ২৫ দিন। এই অবস্থায় তৃণমূলে কর্মী সম্মেলন থেকে নোয়াপাড়ায় সদ্য তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অর্জুন সিং। মুকুল রায়কে আহ্বান জানালেন নির্বাচনী লড়াইয়ের। তাঁকেই প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানালেন।
[আরও পড়ুন:'অকথা-কুকথায় উসকায় ওঁরাই', 'ভালো ছেলে' কেষ্ট-র হয়ে সাফাই 'দিদি' মমতার]
এর আগেও মুকুল রায় দল ছাড়ার পর ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অর্জুন সিং কড়া ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন। মিরজাফর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার তাঁরে সম্মমুখ সমরে অবতীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। মুকুল রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ব্যক্তিগত ইগোকরে দূরে সরিয়ে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করাই আমাদের এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য। এটা একটা যুদ্ধ। এখানে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দলের ক্ষতি করবে।
উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। গত নির্বাচনেও কংগ্রেসের মধুসূদন ঘোষ বামফ্রন্টের সমর্থনে বিজয়ী হন। মধুসূদনবাবু প্রয়াত হওয়ার পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। এবার চতুর্মুখী লড়াই আসন্ন। কারণ বামফ্রন্ট ইতিমধ্যেই তাঁদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। আর এই চতুর্মুখী লড়াইয়ে এবার কংগ্রেসের হাত থেকে নোয়াপাড়া আসনটি ছিনিয়ে নিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী তৃণমূল।
[আরও পড়ুন:ক্ষুদ্র-সঞ্চয়ীদের পাশে মমতা! মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির কঠোর সমালোচনা]