'এখানে তৃণমূল বলে কিছু নেই, অর্জুন সিং বিজেপি, মানে সব বিজেপি', স্বমহিমায় অর্জুন সিং
আগে তিনি যেখানেই প্রচারে যেতেন সেখানেই তৃণমূল কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বনি শোনা যেত। বিজেপিতে অর্জুন সিং এর য়োগ দেওয়ার পর ,সেই পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে।
আগে তিনি যেখানেই প্রচারে যেতেন সেখানেই তৃণমূল কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ধ্বনি শোনা যেত। বিজেপিতে অর্জুন সিং এর য়োগ দেওয়ার পর ,সেই পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে। মঙ্গলবার কাঁকিনাডা়র ফলাহারী বাবার মন্দিরে বজরঙ্গবলীর পুজো দিতে যান সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা অর্জুন সিং । দলীয় সমর্থকদের 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনির মধ্য দিয়ে এদিন মন্দিরে ঢুকে যান অর্জুন। পুজো দিয়ে বের হতেই সাংবাদিকদের সামনে তৃমমূলকে নিয়ে একাধিক তোপ দাগেন তিনি।
অর্জুনের পুজো
এদিন
বজরঙ্গবলীর
পুজো
দিয়ে
অর্জুন
সিং
বলেন,
দেশের
জন্য
নয়,
নিজেদের
স্বার্থে
গঠবন্ধন
করছে
বিরোধী
রাজনৈতিক
দলগুলি।'
তার
সঙ্গে
ছিলেন
তাঁর
ভাইপো
সৌরভ
সিংও।
তাঁদের
সঙ্গে
ছিলেন
অসংখ্য
বিজেপি-র
কর্মী-সমর্থক।
এতদিন
ভাটপাড়ার
তৃণমূল
বিধায়ক
ছিলেন
অর্জুন
সিং।
বিজেপিতে
যোগ
দেওয়ায়
সবার
চোখ
এখন
ব্যারাকপুরের
দিকেই।
অর্জুন যা বললেন
এদিন পুজো শেষ হতেই অর্জুন সিং একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগেন। পাশাপাশি পার্টি অফিস দখল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'তৃণমূল বলে এখানে কিছু নেই, অর্জুন সিং বিজেপিতে, মানে সবাই বিজেপির পক্ষে।'
ব্যারাকপুরে তৃণমূলের ভোট যুদ্ধ
সর্বশক্তি দিয়ে এই কেন্দ্রে লড়াইয়ে তৃণমূল। একদিকে বারাকপুর ধরে রাখতে। অন্যদিকে দিদির সম্মান। তাই কিছুতেই হাতছাড়া করা চলবেনা ব্যারাকপুর। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীকে জেতাতে ২ দফায় এই কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্রে করবেন একাধিক সভা। প্রচারের বড় দায়িত্বে থাকছেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি।
ব্যারাকপুর দখলে ময়দানে নামছে বিজেপি
ব্যারাকপুরে এক চুল জমিও তৃণমূলকে ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে এই কেন্দ্রে প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধুই মোদী নন, আসছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সহ একাধিক হিন্দিভাষী হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী। আসছেন একঝাঁক বলিউড তারকা। সবমিলিয়ে ভোট বাজারে জমজমাট ব্যারাকপুর।