মুকল-দিলীপের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে জল্পনা, প্রশান্ত কিশোরকে দায়ী করলেন অর্জুন সিং
মুকল-দিলীপের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে জল্পনা, প্রশান্ত কিশোরকে দায়ী করলেন অর্জুন
মুকুল রায়ের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে নানা সময়েই নানা জল্পনার পারদ চড়ে। এ জন্য ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে দায়ী করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর সাফ কথা তৃণমূল কংগ্রেসই এই দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এটা একটচা চক্রান্ত। এই নোংরা রাজনীতি করেই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
মুকুল রায়ের দিল্লি ছাড়ার পরই জল্পনা
দিল্লিতে বিজেপির বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই মুকুল রায় দিল্লি ছেড়ে চলে আসেন। সে প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, মুকুল রায়ের রেটিনায় একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া দরকার ছিল এবং তিনি কলকাতার দিশা হাসপাতালে এর জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই তিনি চোখের চিকিৎসার জন্যই কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল না। অথচ সেটাকে রাজনৈতিক রং চড়িয়ে দেওয়া হল।
প্রসঙ্গ মুকুল-দিলীপের অভ্যন্তরীণ বিরোধ
তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের যে গল্প ফাঁদা হয়েছিল, তা সর্বেব মিথ্যা। তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দল নয় যে, কোনও নেতা তদ্বির করে পছন্দের পদ পেয়ে যাবেন। এটি একটি জাতীয় পার্টি। এখানে তদ্বির কাজ করে না। দলীয় কর্মী ও নেতাদের মধ্যে প্রচুর আলোচনার পরে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, রটনা
দিল্লির বৈঠকে অর্জুন সিং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বলে খবরে প্রকাশ হয়েছিল। খবরে প্রকাশ, অর্জুন বলেছিলেন, দু-একজনের অঙ্গুলিহেলনে দল চলে। তাঁরা পদাধিকারী হলেও, তাঁদের কোনও অধিকার নেই। বিতর্ক চরমে উঠেছিল এই বিদ্রোহ নিয়ে। এ প্রসঙ্গে অর্জুন স্পষ্ট করে দিলেন, কোনও বিতর্ক হয়নি, মতান্তরও হয়নি। সবকিছুই রটনা করা হয়েছিল।
বিজেপিতে বিরোধে প্রশান্ত কিশোরের হাত
একের পর এক ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অর্জুন সিং। বিজেপি জেলা নেতৃবৃন্দ, সাংসদ ও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল এবং নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছিল সেই বৈঠকে। অসন্তুষ্টি বা মতবিরোধ ছিল না। কারণ ওটা শুধু আলোচনা ছিল, সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈঠক ছিল না।
তৃণমূলের নোংরা রাজনীতিই দায়ী, বলেন অর্জুন
এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তাঁর পুরনো দলের দিকে আঙুল তুলে বলেন, কিছুর মিডিয়াকে ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছিল তৃণমূল। এটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নোংরা রাজনীতির উদাহরণ। এর পেছনে থাকা মিডিয়া সংস্থাকে আমরা ইতিমধ্যে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।
প্রশান্ত কিশোরকে একহাত অর্জুনের
প্রশান্ত কিশোরকে একহাত নিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে যতই কুৎসা রটাক তৃণমূল কোনও ফায়দা হবে না। বিজেপিকে এভাবে রোখা যাবে না। তৃণমূলের নোংরা খেলা অচিরেই শেষ হয়ে যাবে। কারণ আগামী দিনে প্রশান্ত কিশোরকে বের করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা মমতা দিদি কারও পরামর্শ শোনেন না।
বঙ্গ বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী-মুখের অভাব! একুশের আগে জল্পনা বাড়ালেন অর্জুন সিং