‘আমি নির্দোষ, আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা আরাবুলের
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করবেন।
হাফিজুল হত্যাকাণ্ডে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেলেন আরাবুল ইসলাম। শনিবার বারুইপুর আদালতে তোলার সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে জানান, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন জানাবেন। জানাবেন, ভাঙড়ে হাফিজুল হত্যাকাণ্ডে তিনি নির্দোষ। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আরাবুলের বাগানে বোমার আড়ত! বোমা সংরক্ষণের 'কায়দা' দেখে চক্ষু চড়কগাছ]
এদিন আরাবুলকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। সেইসময় আরাবুল দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। তিনি হাফিজুল-হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কিছুই জানেন না। ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর উপর মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি দিদিকে বলব, এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক। আমি দোষী নই, এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চান আমিও।
উল্লেখ্য, হাফিজুল হত্যাকাণ্ডে আরাবুলের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানো, হত্যার ষড়যন্ত্র, এলাকা সন্ত্রস্ত, মিছিলে হামসা ও হত্যার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে অস্ত্র আইনেও। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯ ও ৩২৬ ধারায় এই মামলা রুজু করা হয়। আরাবুলকে ১0 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীরা শুক্রবার নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল নতুনহাট মোড়ে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। মিছিল লক্ষ্য করে বোমা চালানো হয়, চালানো হয় গুলিও। দুষ্কৃতীদের সেই গুলি লেগেই মৃত্যু হয় হাফিজুল মোল্লা নামে এক আন্দোলনকারীর। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে হাড়োয়া রোড অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এরপর পুলিশ রাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে আন্দোলনকারীদের পাশে সুজন, নিহত হাফিজুলের পরিবারকে আশ্বাস]