ফের বিতর্কে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ! নিরপেক্ষ শুনানির স্বার্থে মিঠুনের মামলা সরানোর দাবি আবেদনকারীর
ফের বিতর্কে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ। নন্দীগ্রামের ভোট গণনাতে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই অভিযোগে গত কয়েকদিন আগেই মামলা দায়ের করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মামলার শুনানির জন্যে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে
ফের বিতর্কে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ। নন্দীগ্রামের ভোট গণনাতে কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই অভিযোগে গত কয়েকদিন আগেই মামলা দায়ের করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মামলার শুনানির জন্যে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওঠে। আর এখানে তৈরি হয়।
একটা সময় তিনি বিজেপির 'সক্রিয় সদস্য' ছিলেন। তাঁর বেঞ্চে এই মামলার নিরপেক্ষ শুনানি সম্ভব হবে না বলে দাবি উঠেছে। শুধু তাই নয়, খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবী মারফৎ প্রধান বিচারপতির কাছে বেঞ্চ বদলের আর্জি জানিয়েছেন।
নতুন করে ফের বিতর্ক
আর এই অবস্থার মধ্যেই নতুন করে ফের বিতর্ক। এবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী বিরুদ্ধে চলা মামলার সরানোর আরজি জানানো হয়েছে। ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন মিঠুন। এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাকারী খোদ হাইকোর্টের আইনজীবী মৃতুঞ্জয় পাল। এই সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি চন্দের এজলাসে নিরপেক্ষভাবে হওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন আবেদনকারী আইনজীবী।
বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে মিঠুনের এই মামলাটির শুনানি
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে মিঠুনের এই মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবেদনকারী আইনজীবী এই মামলা থেকে বিচারপতি চন্দকে অব্যাহতি নেওয়ার আবেদন জানান। আবেদনের জেরে শুনানি স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি চন্দ। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার। তবে এই বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিচারপতি চন্দ এই মামলা ছেড়ে দেবেন কিনা সে বিষয়টিও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী।
মিঠুনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ
বিজেপিতে যোগ দিয়ে একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। তৃণমূলের একটি সংগঠন এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিঠুন। সেই মামলাতে অভিনেতা তথা বিজেপি নেতাকে পুলিশকে সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দেন। এরপরে পুলিশ প্রশাসনের তরফেও তৎপরতা শুরু হয়। অনলাইনের মাধ্যমে মিঠুনকে প্রায় কয়েক ঘন্টা লাগাতার জেরা করা হয়।
বিচারপতিকে ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত আদালত
বিচারপতি চন্দকে নিয়েদ্বিধাবিভক্ত কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের একাংশের দাবি, একটা সময়ে বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন্। এমনকি বিজেপির হয়ে একাধিক মামলাতেও লড়েছেন। দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি প্রকাশ করে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। যদিও হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর মতে, আইনজীবী হিসাবে তাঁর মক্কেলের হয়ে যে কোনও মামলা লড়তে পারেন। সেজন্যে পারিশ্রমিক পান। বিচারপতি হিসাবে তিনি অবশ্য নিরপেক্ষ থাকবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।