ঘর শত্রু বিভীষণ! অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণের পদত্যাগের দাবি অপরূপার
ঘর শত্রু বিভীষণ! অভিষেকের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণের পদত্যাগের দাবি অপরূপার
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে কার্যত বিদ্রোহ তৃণমূলে। প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ভাইপোর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তাঁকে নেতা হিসাবে মানি না বলেও দাবি তাঁর। শ্রীরামপুরের সাংসদের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে সমালোচনার ঝড়। কার্যত একের পর এক তৃণমূল নেতার তোপের মুখে সাংসদ। ঘটনার পরেই একাধিক তৃণমূল নেতার তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কল্যাণ ইস্যুতে অভিষেকের পাশে অপরূপা
কার্যত সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। তা স্পষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্ব সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা না কর্ণপাত করেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন অপরূপা পোদ্দার। ঘর শত্রু বিভিষণ বলেও দাবি আরামবাগের সাংসদের। শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে একের পর এক তোপ দেগেছেন তিনি। বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে লোকসভার মুখ্য সচেতকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। এই বিষয়ে আরামবাগের সাংসদের মন্তব্য, লোকসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক হিসাবে রয়েছেন কল্যাণবাবু। তাঁর যদি কিছু বলারই থাকত তাহলে দলের মধ্যেই বলতে পারতেন বলেও দাবি অপরূপার। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কি বলছেন সৌগত রায়
এই প্রসঙ্গে সৌগত রায় বলেন, দলের মধ্যে যদি কোনও সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তা সংবাদমাধ্যমে বলা উচিৎ নয়। দলের মধ্যে আলোচনা করেই সমস্যা মেটানো উচিৎ। আর যে বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে আমিও ছিলাম বলে দাবি দমদমের এই সাংসদের সর্বসম্মতিক্রমেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাঁর। তবে আলোচনা করে সমস্যা মিটবে বলে দাবি তাঁর।
তখন ভাইপোর অনুগত হয়ে যাবে!
এই ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। আর সেটাই হাতিয়ার করে একযোগে মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, তৃণমূল দলটা আসলে একেবারেই পিসি এবং ভাইপোর পার্টি। পিসির কথা ছাড়া সেখানে একটা পাতাও নড়ে না বলে দাবি তাঁর। এমনকি বামনেতার মনে, মমতার ছবি নিয়েই অভিষেক, তাঁর ছবি নিয়েই কল্যাণ, তাঁর ছবি নিয়েই আবার কুণাল। আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের বিরোধিতা করছে, পরশু যখন ক্ষমতার রুটির টুকরো ছুড়ে দেওয়া হবে, তখন ভাইপোর অনুগত হয়ে যাবে। তাঁর মতে, এ সবে আদতে মানুষের কোনও লাভ হচ্ছে না। মানুষের জীবন- জীবিকা সব শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে তোপ বর্ষীয়ান এই বামনেতার।
এক নজরে কি ঘটনা?
অভিষেকের ডায়মন্ডহারবার মডেল নিয়ে সংঘাত চরমে। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই মুহূর্তে সমস্ত কিছু দুমাস পিছিয়ে দেওয়া উচিৎ। ধর্মীয়-জমায়েত থেকে ভোটও। এমন বললেও বিষয়টি ব্যক্তিগত বলেও ব্যাখ্যা করেন। আর এখানেই আপত্তি কল্যাণের। তাঁর মতে, অভিষেকের এহেন মন্তব্য আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দিকেই প্রশ্ন তুলছে। দলের শীর্ষ পদে থেকে এমন বলা যায় না বলেও প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন তিনি।
ছবি সৌ: টুইটার